ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গিয়াস উদ্দিন (৩৫) নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে তাকে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল চেষ্টা চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

রবিবার (৪ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

গিয়াস উদ্দিন ওই ওয়ার্ডের আবদুল খালেকের ছেলে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শনিবার (৩ এপ্রিল) বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণ ও ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তার স্বামী কুমিল্লায় চাকরি করেন। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। গৃহবধূ তার কুপ্রস্তাব বার বার প্রত্যাখ্যান করেন। ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ঘরে একা থাকার সুযোগে গিয়াসউদ্দিন তার বসতঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে শনিবার (৩ এপ্রিল) থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা বিলম্বে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করায় মামলা বিলম্বিত হয়েছে।

দৌলতখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বশির আহমেদ খান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আসামি গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার সকালে তাকে ভোলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

শামীম আহমেদ :: আসন্ন রমজান এবং লকডাউন ঘোষণার পর পরই বরিশালের বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। লকডাউনে কি পরিস্থিতি হয় এমন আশংকায় শনিবার সরকারি ঘোষনার পরপরই বাজারমুখী হয় ক্রেতারা। রবিবার মুদী বাজার ও কাঁচাবাজারে আরও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কে কার আগে বাজার সদাই নেবেন এমন প্রতিযোগীতা চলছে বাজারে। তবে মূল্য বৃদ্ধির কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাজারে পন্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কোন ধরনের গুজবে কান না দিয়ে অতিরিক্ত পন্য কেনা থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পবিত্র শবে-ই বরাতের পরই রমজানমুখী কেনাকাটা শুরু করেন ক্রেতারা। তবে শনিবার সরকারি ঘোষণায় সোমবার থেকে সারা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বাজারে হুমড়ী খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। একে তো রমজান আসন্ন, তার উপর আবার সোমবার থেকে লকডাউন। তাই সামনে কি পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে তা নিয়ে সন্দিহান ক্রেতারা। তাই আর দেরি না করে মুদি ও কাঁচা বাজার থেকে যে যা পারছেন কিনছেন। প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পন্য কিনছেন অনেকে। এ কারনে বাজারে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

তবে বাজারে কোন নিত্য পণ্যের ঘাটতি নেই বলে দাবি নগরীর পিয়াজপট্টির আড়তদার এনায়েত হোসেনের।
ক্রেতারা হুজুগে অতিরিক্ত কেনাকাটা করছেন বলে দাবি ফরিয়াপট্টির মুদি দোকানি মো. রুবেলের।

এদিকে বাজারে হুজুগে অতিরিক্ত কেনাকাটা এবং ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড় ঠেকাতে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।

আজ দুপুরে নগরীর বাজার রোড, ফরিয়াপট্টি ও পিঁয়াজপট্টিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা বলেন, লকডাউনকে ঘিড়ে বাজারে অতিরিক্ত ভীর এবং অতিরিক্ত কেনাকাটা লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে কোন পণ্যের সংকট নেই। যথেষ্ট পন্য মজুদ রয়েছে। জেলা প্রশাসন ক্রেতাদের অতিরিক্ত কেনাকাটা না করার অনুরোধ করছে। একই সাথে বাজারে শারীরিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।”

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: লকডাউন ঘোষণার পরপরই ঝালকাঠির বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। লকডাউনের আগের দিনে বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে জনসাধারণ। মাস্ক ছাড়াই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। এদিকে লকডাউনের সুযোগে এক দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

ঝালকাঠি শহরের প্রধান বাজার ও চাঁদকাঠি চৌমাথা বাজারে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় করে কেনাকাটা করছেন। লকডাউনের খবর শুনে মানুষ এক সপ্তাহের বাজার এক দিনে করে রাখছেন। অনেকে পুরো এক মাসের বাজারও করছেন। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরাও নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। শনিবার যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৮ টাকা আজ রবিবার তা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার রসূন ৬০ টাকা। ৫০ টাকার আদা ৬০-৮০ টাকা। ১৩ টাকার আলু ২০ টাকা। সয়াবিন তেলে দামও কেজিপ্রতি বেড়েছে ৭ টাকা। ১২৮ টাকা কেজির সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

এছাড়াও কাঁচামালের দামও বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। অন্যদিকে ব্রয়লার, সোনালী ও দেশি মুরগির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়েছেন অল্প আয়ের মানুষ। অনেকেই মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও লকডাউনের কথা চিন্তা করে কেনাকাটা করে যাচ্ছেন। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে মাস্ক ছাড়াই এখনো ঘরের বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি কোনভাবেই মানছেন না জনসাধারণ। যানবাহনেও একসঙ্গে গামিশিয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।

ঝালকাঠির বড় বাজারে গিয়ে কথা হয় শহরের বান্ধাঘাটা এলাকার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগের চেয়ে সবকিছুর দাম বেড়েছে। লকডাউনের নাম শুনেই দাম বাড়লো। লকডাউনের মধ্যে আরো দাম বাড়তে পারে বিধায় একটু বেশি কেনাকাটা করলাম।

রিকশাচালক আবদুর রহিম বলেন, দাম বাড়লে ক্ষতি হয় আমাদের মতো দিনমজুরের। আগের চেয়ে কাঁচামালেরও দাম বেশি। তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আঁদা, মুরগি, মাছ সবকিছুর দাম বেশি। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

ঝালকাঠি বাজার কমিটির সভাপতি লাল মিয়া বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনার জন্য আগের চেয়ে খরচ বেড়ে গেছে। মানুষ বেশি কিনলে আমদেরও বেচাকেনা ভালো হয়। তবে বাজার দর এখনো মানুষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে রোগ ভালো না হওয়ায় টাকা ফেরত চেয়ে কবিরাজের বাড়ি গিয়ে ধাওয়া দেয় এক যুবক। এসময় বাড়ির পিছনের একটি নদীতে ঝাপ দিলে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় বৃদ্ধ কবিরাজের।

শনিবার দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর ইউনিয়নের গহীনখালী নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে। বৃদ্ধ ওই কবিরাজের নাম খালেক গাজী(৬৫)। সে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় লাল মিয়া হাওলাদারকে নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের ভয় দেখিয়ে কবিরাজকে ধাওয়া দেয় লাল মিয়া হাওলাদার। এসময় ভয়ে বাড়ির পিছনের নদীতে ঝাঁপ দেয় খালেক গাজী। নদী সাতরিয়ে কিনারে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে সে। পরে স্থানীরা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। কাজির হাওলা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঝালকাঠি শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৮)। শনিবার ভোর রাতে র‌্যাবের একটি টিম শহরের বাতাসাপট্টি এলাকার ওই হোটেলে হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

রোববার দুপুরে এক ইমেল বার্তায় মাদক উদ্ধার ও গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে র‌্যাব বরিশাল সদর দপ্তর।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বাসিন্দা মৃত খুরশীদ আলমের ছেলে বেলায়েত হোসেন (৪০) এবং চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মো. নিরব আহমদ (৪১)।

র‌্যাব জানায়, তাদের একটি টহল টিম দায়িত্ব পালনকালে খবরে আসে ঝালকাঠি শহরের বাতাসাপট্টি এলাকার ‘আরাফাত বোডিং’ (আবাসিক) নামক হোটেলের চতুর্থ তলায় অবস্থান করছে। পরক্ষণে র‌্যাব সদস্যরা হোটেলটির চতুর্থ তলার ৪০৪ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে ২৪ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ৮১ হাজার ৮৩০ টাকা উদ্ধার করে। সেই সাথে বেলায়েত হোসেন এবং নিরব আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে।

এই ঘটনায় বরিশাল র‌্যাবের ডিএডি মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।’

শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ পৃথক তিনটি অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও অপহৃতা দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। অপহৃতা অপর এক ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে ও অপহৃতা দুই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে এবং আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ গোলাম ছরোয়ার মামলার বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের লখারমাটিয়া গ্রামের সহিদ মৃধা ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগমকে খাবার পানির সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে তাদের নবম শ্রেণিতে পড়–য়া কন্যাকে গত ২৯ মার্চ রাতে অপহরণ করে পাশ্ববর্তী মাগুড়া গ্রামের হারুন সিকদারের পুত্র আবির সিকদার ও তার সহযোগিরা।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি আবিরকে শনিবার রাতে মাদারীপুরের চরমুগুরিয়া গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতারের পর অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের কার্তিক সরকারের কলেজ পড়–য়া কন্যাকে গৈলা গ্রামের সুনীল মন্ডলের পুত্র মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল গত ২৪ মার্চ অপহরণ করে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ শনিবার রাতে অপহরণকারী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলের বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে।

অপরদিকে গত আট মাস পূর্বে গৌরনদী মডেল থানায় এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামি শামসুল হককে কালকিনি উপজেলার বালাইচর গ্রাম থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামসুল হক ওই গ্রামের মৃত কুতুব উদ্দিনের পুত্র।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তবে ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল।

শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সোনারগাঁও “রয়্যাল রিসোর্টের” ৫০১ নম্বর কক্ষ থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবেদুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষ থেকে এক নারীসহ স্থানীয়রা মামুনুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক দাবি করেছেন, তার সাথে থাকা ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। শনিবার দুপুরে অবকাশ যাপনের জন্য সোনারগাঁয়ে বেড়াতে এসে এ রিসোর্টে উঠেন।

তিনি বলেন, “আমি দুই বছর আগে শরিয়ত মোতাবেক তাকে (ওই নারী) বিয়ে করেছি। আজ দুপুরে সোনারগাঁয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসি। আমি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসিনি। যারা আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব।”

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবেদুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “মামুনুল হককে আটক বা গ্রেফতার কিছুই করা হয়নি। মূলত স্থানীয়রা তার ওপর চড়াও হওয়ায় আমরা তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছি। এর বাইরে কিছু না। তিনি এখনও আমাদের সামনেই আছেন। তাকে জিজ্ঞাবাসাদ করা হচ্ছে।”

পটুয়াখালী: জেলার বাউফলে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে ওই গৃহবধূ অজ্ঞাতনামা তিন জনকে অভিযুক্ত করে বাউফল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে ওই গৃহবধূ নির্বাচনি প্রচারণা শেষে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথে তিন জন তার চোখ ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় তাকে বিলের মধ্যে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। চোখ এবং হাত পা বাঁধা থাকায় ওই গৃহবধূ কাউকে চিনতে পারেনি।

পরে সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল ও নিলুফা বেগম তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আল মামুন জানান, তদন্তপূর্বক আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পেটের ক্ষুধার তাগিদে মানুষ কত কিছুই না করে। এমনই এক হিন্দু পরিবার তাদের পেটের জ্বালা নিবারনের জন্য যশোর থেকে বরিশালে এসে ইট ভাটায় কাজ নেন সংখ্যালঘু প্রতাব বিশ্বাস কিন্তু সেখানেও আঘাত হানে বিশ্বাসঘাতক হায়না।

সেই ইট ভাটার লেবার সর্দারের কু-দৃষ্টি পড়ে প্রতাব বিশ্বাসের ১৫ বছর বয়সী মেয়ের দিকে।

গত শুক্রবার ২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সবাই ফিল্ডে কাজে যান প্রতাব মেয়েটি একাই বাসায় ছিলো সেই সুযোগে লেবার সর্দার মাসুদ ওই ঘরে প্রবেশ মেয়েটিকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

এসময় পাশের ঘরে লোক চলে আসার পরে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে মাসুদ। তখন প্রতাব বিশ্বাসের মেয়ে মাসুদকে ধাওয়া করে নিয়ে রিতা নামের এক শ্রমিকের বাসার সামনে বসে লাঠি দিয়ে পিটানোর চেষ্টা করে।

তখন মাসুদ মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ঘটনা প্রকাশ পেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ফিল্ড ম্যানেজার বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়ে মেয়ের মার কাছ থেকে মুচলেকা রাখে বলে জানান, মেয়েটির মা।

ঘটনাটি ঘটেছে, বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানি গ্রামে অবস্থিত ফুজি ব্রিক ফিল্ডে। বিষয়টি থানা পুলিশের কাছে সংবাদ পৌছালে ভাটা ছেড়ে পালিয়ে যায় ম্যানেজার হাবিবুর রহমান।

বরিশাল মেট্টোপলিটনের বন্দর থানার চৌকস উপ-পুলিশ পরির্দশক(এসআই) সামসুল হক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাসুদকে আটক করে। এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই থানার ওসি তদন্ত।

তিনি ঘটনার সহযোগীতা করার অপরাধে ভাটার সহকারী ম্যানেজার রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন।

পরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হােসেল তালুকদারের ফোনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ছেড়ে দেন ওসি তদন্ত সানোয়ার হোসেন।

এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হােসেল তালুকদারের সাথে সেল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দিয়েছেন। তাই কার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।

অপরদিকে ফুজি ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজার হাফেজ হাবিবুর রহমানের সাথে আলাপ করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানায়।

একটি সূত্র জানা গেছে, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে কতিপয় ব্যক্তিরা।জানা গেছে আটককৃত মাসুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা গ্রামের মোহন মিয়ার পুত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠীতে বিএনপি দলীয় সাধারণ কর্মীদের নাশকতার ফাঁদে ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী আওয়ামীলীগের মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়া প্রর্থীর কাছ থেকে টাকা কামানোর ধান্ধা বা পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভার নামে গভীর রাত পর্যন্ত নীরহ সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাইয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল ১১ এপ্রিল কলসকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন আ’লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার। পাশাপশি এই পরিকল্পনার বাস্থবায়নে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে সতন্ত্র প্রার্থী টিটু শিকদারকে সমর্থন দিতে বলা হয়েছিল।

এ ধরনের কাজে অস্থিতিশীল পরিবেশ বা নশকতা সৃষ্টি সহ কর্মী সমর্থকরা হামলা মামলার শিকার হতে পারে বলে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল বশার বকুল প্রশ্ন রেখে এবং খাবার না খেয়ে চলে আসেন বলে জানান। ইউনিয়ন বিএনপির সহ সপভাপতি শফিকুল ইসলাম রঞ্জু ,উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও কলসকাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেন হাওলাদার, বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপি মনোনিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান নান্নু খান এই চক্রান্তের অনুঘটক বলে নানান তথ্য পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম হলে যাতে দোষ গাঢ়ে না পরে সেজন্য বিএনপি ঘরনার প্রার্থী জসিমকে নানান দিক থেকে চাপ দেয় আপন বড় ভাই বিএনপির সহ সভাপতি ও কলসকাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেন। নিজের নিরাপত্তা ও দলীয় সমর্থন পাবেন না নিশ্চিত হয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়।

স্থানীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় বিশ লাখ টাকার বিনিময়ে শওকত,নান্নু,রঞ্জু, বকুল ও নুর উদ্দিন বিএনপি ঘরনার প্রার্থী জসিমকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং নির্বাচনের দিন দলীয় কর্মিদের দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে টিটু শিকদারকে জয়ী করার পায়তারা করেছিল। স্থানীয় বিএনপির সচেতন সাধারন কর্মীরাই প্রশ্ন তুলেছেন, প্রথমত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় হাই কমান্ড কোন নির্দেশনা দেননি এবং দল থেকেও নির্বাচনে কেউ অংশ গ্রহন করেননি।

তাহলে কেন? কর্মি সমাবেশের নামে সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের বাগান বাড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাইয়ে সাধারন কর্মিদের নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়া সতন্ত্র প্রর্থীর পক্ষে থাকার কথা বলা হলো। যতদুর যানা গেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাধারন সম্পাদক’র অনুমতি নেওয়াও হয়নি এ কর্মি সমাবেশ ডাকার ব্যাপারে।

দ্বিতীয়ত বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপি মনোনিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান নান্নু খান সব সময় ঢাকা থাকেন। দলীয় কাজে দু একদিনের বেশি তাকে বাকেরগঞ্জ বা নিজ গ্রাম কলসকাঠিতে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। অথচ তিনি নির্বাচনের দিন বিএনপি দলীয় কর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাঠে রাখতে নিজ গ্রামে টানা এক সপ্তাহ অবস্থান নিয়েছিলেন। পরিকল্পনার নানা মূখী ছক তৈরি করে ছিলেন তিনি। বিষয়টি স্পষ্ট হয় কর্মি সমাবেশ ডাকার বিষয়ে তার অগ্রনি ভূমিকা ও নির্বাচন স্থগিত হয়েছে জেনে ঢাকা চলে যাওয়া নিয়ে।

তৃতীয়ত, আ’লীগ প্রার্থী অহিদ ফয়সাল মুন্নার কাছ থেকেও পাওয়া গেছে ভয়ংকর তথ্য। তিনি জানান, কলসকাঠি ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সতন্ত্র প্রার্থী টিটু শিকদারের পক্ষে প্রতিদিন অপরিচিত লোকদের মটর সাইকেল মহড়া দিতে দেখা গেছে। তবে তাদের প্রত্যেকের কাদে ও কোমরে ব্যাগ ঝুলানো থাকতো। সেই ব্যাগে বোমা বা অস্ত্র সাদৃশ্য কিছু কলসকাঠিতে ইন করানো হচ্ছে।

এলাকার সাধারন মানুষ আলোচনা করছেন, যে ভাবে বিএনপির কয়েকজন নেতা যে ভাবে ভূল বুঝিয়ে সাধারণ কর্মীদের নির্বাচনী মাঠে থাকার জন্য অপ-উৎসাহিত করছিলেন তাতে ১১ তারিখের নির্বাচন স্থগিত না হলে নাশকতা হানাহানির ঘটনা ঘটতো। কলসকাঠী সচেতন নাগরিক সমাজ নামে একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে, “বাকেরগঞ্জ কলসকাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেন হাওলাদার ও বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নুরউদ্দিন সহ সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান নান্নু খান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার বকুল ও শফিকুল ইসলাম (রঞ্জুর) গোমর ফাঁস।

বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেন হাওলাদার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও অন্তরালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন থেকে ছিটকে পরা টিটু খন্দকারের সমর্থন দিয়েছেন। গত ৩১ মার্চ শওকত হোসেনের বাগানবাড়িতে সংগঠন বিরোধী ডাকা ইউনিয়ন বিএনপির বর্ধিতসভায় সফিকুল ইসলাম রঞ্জুর সভাপতিত্বে টিটু খন্দকারের সমর্থনে সভা করেন। এতে কলসকাঠী সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন শওকত হোসেন হাওলাদার, সৈয়দ নুরুদ্দিন, মোঃ কামরুজ্জামান নান্নু, আবুল বাশার বকুল ও শফিকুল ইসলাম(রঞ্জু) লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে লাঞ্ছনা গঞ্জনা মামলা হামলার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই ফেসবুক পোষ্টে দালাল মুক্ত কলসকাঠি বিএনপি চাই বলে দাবি করা হয়েছে।

” ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার বকুল বলেন,নান্নু ও শওকত ভাই ৩১ তারিখ রাতে বর্ধিত সভার নামে ভোটের দিন কর্মীরা মাঠে সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকে সেটা বোঝানো হয়েছিল। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি সেহেতু এ কাজ করতে গেলে অনেক কর্মীরা হামলা মামলার স্বীকার হবে। তাই আমি এর বিরোধিতা করে না খেয়ে সভা থেকে চলে আসি। নির্বাচন থেকে সরে আসা প্রার্থী জসিম জানান, ব্যবসা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নির্বাচন থেকে ফিরে এসেছি। তবে জসিম প্রর্থীতা প্রত্যাহারের আগে পরে সতন্ত্র প্রার্থী টিটুর ভাই একাদিকবার জসিমের বাড়িতে গোপনে আসা যাওয়া করেছিলেন।

এঘটনায়ও বিএনপির সচেতন কর্মীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও কলসকাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেন হাওলাদার ও শফিকুল ইসলাম (রঞ্জু)কে কর্মী সভা ডাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। পাশাপাশি দল যেখানে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি,সেখানে কেন নির্বাচনের দিন সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করার জন্য কর্মিদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো ? এমন প্রশ্নে কোন সদুত্তর মেলেনি তাদের কাছ থেকে।

অন্যদিকে কর্মী সমাবেশে উপস্থিত প্রায় ৩০০ জনকে বিয়ে বাড়ির মতো খাওয়ানোর টাকার যোগান দিলো কে? তারও কোন উত্তর দেননি। উপজেলা বিএনপি মনোনিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান নান্নু খানকে এ বিষয়ে জানার জন্য তার মোবাইলে একাদিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে নির্বাচনের নানান ঘটনার অভিযোগর বিষয়ে নিয়ে সতন্ত্র পার্থী টিটু শিকদারর কাছে জানতে চাইলেও তিনি কোন মন্তব্য করেননি।