বরিশালে নিজ হেফাজতে গাঁজা রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২ নারীকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শহীদ আহম্মেদ মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

 

দন্ড ঘোষণার পরপরই তাদের কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। দন্ডপ্রাপ্ত শাহানা বেগম বরিশাল নগরীর কেডিসি বালুর মাঠ এলাকার সেকান্দার মুন্সির স্ত্রী এবং অপরজন ফরিদা বেগম একই এলাকার কামরুলের স্ত্রী। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি হুমায়ন কবির জানান, ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল কেডিসি বালুর মাঠ বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ কেজি গাঁজাসহ ওই দুই নারীকে আটক করে।

এ ঘটনায় পরদিন তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সমিরন মন্ডল। একই বছরের ৩১ মে তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস ওই দুই নারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন। পরে ট্রাইব্যুনালে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন।

ঝালকাঠিতে লেগুনা ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় নবগ্রাম-ঝালকাঠি সড়কের বাউকাঠি কাজীবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত অটোরিকশাচালকের নাম সোহেল খলিফা (৩৩)। তিনি দক্ষিণ বাউকাঠি গ্রামের জালাল খলিফার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহেল খলিফা তাঁর ইজিবাইকে নবগ্রাম থেকে দুই যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি আসছিলেন। পথে বাউকাঠি কাজীবাড়ির সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকচালক সোহেল নিহত হন। গুরুতর আহত হন ইজিবাইকটির যাত্রী পিংকি (১৫) ও অজ্ঞাতনামা অন্য এক যাত্রী। দুজনকেই বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পিংকির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় নবগ্রাম-ঝালকাঠি সড়কের বাউকাঠি কাজীবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত কুমার পাল বলেন, নিহত ইজিবাইকচালকের লাশ পরিবারের অনুরোধে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আহত পিংকির অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ দুপুরে মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না। তাই তাকে থামিয়েছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা। এরই একপর্যায়ে আচমকা হামলা সার্জেন্টের ওপর। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা ঐতিহ্য চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম বিপুল কুমার। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সার্জেন্টের দুই হাতে জখম হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে। সার্জেন্ট বিপুল কুমারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়েছে। ঘটনাস্থলের সামনেই এদের একজনের চায়ের দোকান, অন্যজন পাশের একটি ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী।

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাথায় হেলমেট ছাড়াই আসছিলেন এক যুবক। ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে থামিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চান। এছাড়া হেলমেট না থাকায় তিনি মামলা দিতে শুরু করেন। তখন ওই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে ফুটপাতের ওপরে ওঠেন। এরপর সার্জেন্টের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান।

এরই একপর্যায়ে ফার্নিচারের দোকান থেকে চেলা কাঠ এনে আচমকাই মারধর শুরু করেন সার্জেন্টকে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ওই যুবক মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে পুলিশের হাতে আটক দুইজন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের নাম বেলাল। তার বাড়ি নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকায়। তিনি সামনের চায়ের দোকানেই আড্ডা দেন।

জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সার্জেন্ট বিপুলের দুই হাতে জখম হয়েছে। শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আপাতত বিস্তারিত কিছু জানি না। একটু সুস্থ হলে সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, হামলাকারী যুবক মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

বরিশাল নদী বন্দরের অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। এসময় তিনি নদী বন্দর ব্যবহাকারীদের আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।

সোমবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টায় বরিশাল নদী বন্দর পরিদর্শনকালে এই অভিমত প্রকাশ করেন গোলাম সাদেক। সেসময় বন্দরের নোংরা পরিবেশসহ বিভিন্ন অবস্থাপনা দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ২ বিলিয়ন ঘনমিটার পলি নদীর পানিতে ভেসে আসে। দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ সচল রাখতে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ কোটি ঘনমিটার পলি ড্রেজিং প্রয়োজন। সেই তুলনায় বর্তমানে খুব জোর ৭ কোটি ঘনমিটার ড্রেজিং করা সম্ভব।

গত অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ঘন মিটার অপসারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ড্রেজিংয়ে কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র উপ পরিচালক (বন্দর বিভাগ) আজমল হুদা মিঠু, বরিশালের বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।

কীর্তনখোলা নেভিগেশন কোম্পানির প্রোপ্রাইটর ( কীর্তনখোলা লঞ্চ মালিক) মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে।

 

১৭ জানুয়ারী রোববার বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামীম আহমেদ পিবিআই কে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।

 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী সেলিম হাওলাদার জানায়, ফেরদৌসের বাড়ি বরিশাল নগরীর বিরুদ্ধে নবগ্রাম রোডস্থ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন একই এলাকার বাসিন্দা লুতফুর রহমান।

 

অভিযোগে তিনি বলেন অভিযুক্ত ফেরদৌস তার পূর্ব পরিচিত এবং বরিশাল পাবলিক হেলথ এর ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার। সে ঠিকাদারি কাজে টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রতারণায় মাতছে।

 

তিনি গভীর নলকুপ বসানোর টেন্ডার পাওয়ার কথা বলে কাজ শুরু করতে লুতফুরের কাছে ৮ লাখ টাকা ধার চায়। ১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার কুতুবউদ্দিন আহমেদ এর বাসায় বসে বিল পেয়ে লভ্যাংশ সহ ফেরত দেয়ার শর্তে ৮ লাখ টাকা ধার নেয়।

 

 

নির্ধারিত মেয়াদ শেষে তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে দেইদিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। শালিস মিমাংসা হলে সেখানেও সে টাকা ফেরত দেয়ার অংগীকার করে। পরবর্তীতে আবারও টালবাহানা করে। গত ৪ জানুয়ারী টাকা ফেরত চাইলে সে অস্বীকার করে। এধরণের অভিযোগ দেয়া হলে আদালত ওই আদেশ দেন।

বরিশাল নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা সড়কের মা মঞ্জিলের বাসিন্দা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বিলকিস বেগমকে কুপিয়ে হত্যার কর দীর্ঘ ৭টি বছর বরিশালের বাহিরের বিভিন্নস্থানে ছদ্ম নাম ব্যবহার পালিয়ে রক্ষা পেলনা আসামী আলম শরীফ অবশেষে এয়ারপোর্ট থানা (বিএমপি) একদল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

 

আজ সোমবার (১৮ই) জানুয়ারী ভোর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি বিলাশবহুল লঞ্চ এমভি ফারহান লঞ্চ থেকে গ্রেফতার করেন এয়ারপোর্ট থানার এ.এস আই আঃ রাজ্জাক, এ.এসআই কামাল হোসেন ও এ.এসআই মাহমুদ।

 

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায় ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বিলকিস বেগমের ভাসুর মোঃ আলম শরীফ বিলকিস বেগমের ব্যাংকের চেক চুরি করে সেখানে ১লক্ষ টাকা লিখে এনে বিলকিসকে স্বাক্ষর করতে বলে আলম শরীফ।

 

এক প্রর্যায়ে ভাসুর আলম শরীফ ও ছোট ভাই ছালাম শরীফ বাদশার স্ত্রী বিলকিসের সাথে কতা কাটাকাটির এক প্রর্যায়ে ভাতিজা ইমন শরীফ (১৪) এর সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।

 

পরবর্তীতে বিলকিস বেগমকে প্রথমে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইতে ৫১ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে বিলকিস বেগম।

 

এঘটনায় বিলকিসের পিতা মোফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে এক মাত্র আলম শরীফকে আসামী করে (বিএমপি) এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

আলম শরীফ সেই থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে নিজের নাম পরিচয় ও ভোটার আইডি কার্ড পরিবর্তন করে পলিয়ে জীবন যাপন করছিলেন।

 

এদিকের সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী ছেলে ইমন শরীফ বলেন তার মা হত্যা হওয়ার মামলা তুলে নিতে আসামীর পক্ষ থেকে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।

 

সোমবার দুপুরে আলম শরীফকে আদালতে সোপর্দ করার মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে এয়ারপোর্ট থানা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিনসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন, বরিশাল জেলার বরিশাল সদর থানাধীন কাশিপুর এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে ও গাড়ীর চালক কবির হোসেন (৪৯) ও একই এলাকার শাহীদ হাওলাদারের ছেলে গাড়ীর হেলপার আকাশ হাওলাদার (২২)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। এ সময় অন্য তিন ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। সোমবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা শেষে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় পুরিন্দা বাজার এলাকার্স্থ রতন বেপারীর মালিকানাধীন সততা মার্কেটের বিজয় সু-স্টোরের সামনে গাড়ীটি গতিরোধ করে পুলিশ তাদের আটক করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রো-ট-২০৫৪২৮ নাম্বারের একটি ট্রাকে বোঝাই করে নিষিদ্ধ পলিথিন ঢাকার চকবাজার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আড়াইহাজার থানাধীন পুরিন্দা বাজার এলাকায় ট্রাকের গতিরোধ করা হয়। এ সময় গাড়ীতে থাকা পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে তিন ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

পরে তল্লাশী করে ১২ হাজার কেজি পলিথিন উদ্ধার করাসহ গাড়ীটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় পাঁচ ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজারের মেসার্স সততা মৎস্য আড়ৎ’র স্বত্বাধিকারী ও মাদক ব্যবসায়ী সত্যরঞ্জন সরকার সোমবার (১৮জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অভিযানে আটক হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে সে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বন্দর বাজারে বসেই মাছের সাথে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার কাছ থেকে ১শত ৮০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৯০ হাজার টাকা জব্দ করেন অভিযান টিম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার, উপ-পরিদর্শক খন্দকার জাফর আহমেদ ও জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, সাইদুল ইসলাম ও কনস্টেবল আব্দুল আজিজ খান। টিমের সাথে সহযোগীতায় ছিলেন বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই ওসমান গণির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।

সত্যকে আটকের পরে বরিশালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬ (১) সারণীর ১০এর”ক” ধারায় সত্যের বিরুদ্ধে মামলা করবেন হবে অভিযান টিম সূত্রে জানা যায়।

এদিকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী বানারীপাড়া পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদক ব্যবসায়ীরা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবী করছে।

তাদের তথ্যমতে খোদ পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডেই মাদক ব্যবসায়ীরা ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তাদের ব্যবসার পরিসর গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠছে।

প্রতিটি ওয়ার্ডেই রয়েছে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী এমনটাই একটি অনুসন্ধ্যানের তথ্য সূত্রের মতামত। তবে ১নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি মাদকের পরিধি ছড়িয়ে রয়েছে বলে ওই অনুসন্ধ্যানের দাবী।

এই ওয়ার্ডটির চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী। ওয়ার্ডের খোদ রিক্সা স্ট্যান্ড যেখানটা সব সময় জনবহুল থাকে সেখানে বসেও মাদক বিকি-কিনি করা হয় বলে সূত্র থেকে জানা যায়।

তবে অনুসন্ধ্যানের তথ্যমতে কিছু কিছু রিক্সার চালকরা এ ব্যাবসা করছে। তারা বেশির ভাগ সময়ই নিজ গাড়িতে করে ভ্রাম্যমান বিক্রেতা বনে যায়।

এরকম অনেক ভ্রম্যমান মাদক বিক্রেতা রয়েছে পুরো উপজেলা জুরে এমনটাও জানা যায় ওই সূত্রের আরেকটি তথ্যে।

উল্লেখ্য বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে আটক হওয়া সত্যের বাড়িও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে। এভাবে করে মাদকের বিস্তারে উপজেলার অনেক পরিবারের সন্তানরা সুন্দর জীবন থেকে বেড়িয়ে এক অজানা আতঙ্কিত জীবনে পা-দিয়ে দিশেহারা হয়ে আজ ভবঘুরে হয়ে পরেছে।

সেই সমস্ত পরিবারের সাথে কথা হয় অনুসন্ধান করা টিমের সঙ্গে। তারা জানান একটি পরিবারের কোন সন্তান যদি মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে যায়, সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনাটা যে কত কষ্টের ও বেদনার তা ভূক্তভোগীরা ছাড়া অন্য কেহই উপলব্ধি করতে পারবেনা।

পরিবারে একজন মাদকসেবী থাকলে সেই পরিবারটির ভিতরকার অবস্থা ছন্নছাড়া হয়ে যায়। তাই ওই সমস্ত পরিবারের দাবী মাদকের বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান অব্যহত রেখে সমাজ থেকে ব্যবসায়ীদের চিরতরে বিতারিত করে দেয়ার অথবা মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে লিখে দেয়া হোক যে, এই বাড়িটি সমাজের একজন ঘৃনিত লোকের যেকিনা মাদক ব্যবসা করছে।

শামীম আহমেদ ॥ জনগনের প্রত্যাশা পূরনে সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে ৪ টি নতুন পিকআপ সংযোজন করা হয়েছে।

 

আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান এ পিকআপ গুলো হস্তান্তর করেন।এর মধ্যে কোতয়ালী থানায় ২ টি, কাউনিয়া থানায় ১ টি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে ১ টি সহ মোট ৪ টি পিকআপ হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 

এ সময় বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, জনগনের কাংক্ষিত সেবা অতি দ্রুত সময়ের মধ্য নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।এই পিকআপ গুলো ব্যাবহার করে অতিদ্রুততার সাথে জনগনের কাছে পুলিশি সেবা পৌছে দিতে হবে।

 

মনে রাখতে হবে আমরা বৃটিশ বা পাকিস্তানি পুলিশ নই।আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের পুলিশ। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের জনগনের প্রত্যাশার পুলিশ।সুতরাং জনগনের কাছে সত্যিকারার্থে নির্ভেজাল সেবা পৌছে দেওয়াটাই আমাদের সফলতা।

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম,উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর দপ্তর)আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ,উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটি এসবি)মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) রুনা লায়লা, সহকারী পুলিশ কমিশনার ষ্টাফ অফিসার শাহেদ আহমেদ চৌধুরী,

সহকারী পুলিশ কমিশনার(ডিবি) মোঃ রবিউল ইসলাম শামীম,কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম,কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিমুল করিম সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে বিয়ের শর্তে ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল্লাহ। রোববার (১৭ জানুয়ারি) জামিন শুনানির নির্ধারিত দিনে আদালতে বাদী এবং আসামি উপস্থিত হলে বরপক্ষের অনুরোধে উভয়পক্ষকে বিয়ের শর্তে স্থায়ী জামিনের প্রস্তাব দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ। প্রস্তাবে উভয়পক্ষ রাজি হলে রোববার দুপুরে দুপক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. সৈয়দ বশির। ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) আব্দুল মান্নান রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৩ বছর আগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার চরভাটারাকান্দা গ্রামের ওই তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক ছিল। রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানির সময় আসামিপক্ষ ভুক্তভোগী বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং মেয়েপক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালতের মধ্যেই ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন।আদালত চত্বরে আসামি, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।’