#

বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজারের মেসার্স সততা মৎস্য আড়ৎ’র স্বত্বাধিকারী ও মাদক ব্যবসায়ী সত্যরঞ্জন সরকার সোমবার (১৮জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অভিযানে আটক হয়েছে।

#

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে সে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বন্দর বাজারে বসেই মাছের সাথে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার কাছ থেকে ১শত ৮০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৯০ হাজার টাকা জব্দ করেন অভিযান টিম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার, উপ-পরিদর্শক খন্দকার জাফর আহমেদ ও জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, সাইদুল ইসলাম ও কনস্টেবল আব্দুল আজিজ খান। টিমের সাথে সহযোগীতায় ছিলেন বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই ওসমান গণির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।

সত্যকে আটকের পরে বরিশালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬ (১) সারণীর ১০এর”ক” ধারায় সত্যের বিরুদ্ধে মামলা করবেন হবে অভিযান টিম সূত্রে জানা যায়।

এদিকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী বানারীপাড়া পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদক ব্যবসায়ীরা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবী করছে।

তাদের তথ্যমতে খোদ পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডেই মাদক ব্যবসায়ীরা ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তাদের ব্যবসার পরিসর গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠছে।

প্রতিটি ওয়ার্ডেই রয়েছে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী এমনটাই একটি অনুসন্ধ্যানের তথ্য সূত্রের মতামত। তবে ১নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি মাদকের পরিধি ছড়িয়ে রয়েছে বলে ওই অনুসন্ধ্যানের দাবী।

এই ওয়ার্ডটির চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী। ওয়ার্ডের খোদ রিক্সা স্ট্যান্ড যেখানটা সব সময় জনবহুল থাকে সেখানে বসেও মাদক বিকি-কিনি করা হয় বলে সূত্র থেকে জানা যায়।

তবে অনুসন্ধ্যানের তথ্যমতে কিছু কিছু রিক্সার চালকরা এ ব্যাবসা করছে। তারা বেশির ভাগ সময়ই নিজ গাড়িতে করে ভ্রাম্যমান বিক্রেতা বনে যায়।

এরকম অনেক ভ্রম্যমান মাদক বিক্রেতা রয়েছে পুরো উপজেলা জুরে এমনটাও জানা যায় ওই সূত্রের আরেকটি তথ্যে।

উল্লেখ্য বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে আটক হওয়া সত্যের বাড়িও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে। এভাবে করে মাদকের বিস্তারে উপজেলার অনেক পরিবারের সন্তানরা সুন্দর জীবন থেকে বেড়িয়ে এক অজানা আতঙ্কিত জীবনে পা-দিয়ে দিশেহারা হয়ে আজ ভবঘুরে হয়ে পরেছে।

সেই সমস্ত পরিবারের সাথে কথা হয় অনুসন্ধান করা টিমের সঙ্গে। তারা জানান একটি পরিবারের কোন সন্তান যদি মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে যায়, সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনাটা যে কত কষ্টের ও বেদনার তা ভূক্তভোগীরা ছাড়া অন্য কেহই উপলব্ধি করতে পারবেনা।

পরিবারে একজন মাদকসেবী থাকলে সেই পরিবারটির ভিতরকার অবস্থা ছন্নছাড়া হয়ে যায়। তাই ওই সমস্ত পরিবারের দাবী মাদকের বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান অব্যহত রেখে সমাজ থেকে ব্যবসায়ীদের চিরতরে বিতারিত করে দেয়ার অথবা মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে লিখে দেয়া হোক যে, এই বাড়িটি সমাজের একজন ঘৃনিত লোকের যেকিনা মাদক ব্যবসা করছে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here