বরিশালকে একটি মডেল মেট্রোপলিটন বানাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন নবাগত পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। এক্ষেত্রে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। বুধবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন পুলিশ কমিশনার।

ওই সভায় তিনি তার লক্ষের কথা জানিয়ে বলেন- আমি যেখানেই চাকরি করি, সেই এলাকাকে আমার নিজের এলাকা মনে করি। আমি নিজেকে সবসময়ই ভুক্তভোগী পরিবারের একজন সদস্য মনে করে দায়িত্ব পালন করি। বিএমপি’র সকল সদস্যসহ আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে, সবার সহযোগিতা নিয়ে আমি বরিশালকে একটি মডেল মেট্রোপলিটন বানাতে চাই।

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন মোহাম্মদ এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) মোহাম্মদ নজরুল হোসেনসহ বরিশালের সাংবাদিকেরা।

 

 

বরিশাল নগরীতে সামসুন্নাহার নিপা (২৫) নামের এক সাংস্কৃতিক কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে শহরের উত্তর মল্লিক রোডের একটি বাসা থেকে তরুণীর লাশটি উদ্ধার করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম। পরে তার মহদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওই এলাকার জাহান ম্যানসনের মৃত ফজলুল করিমের কন্যা স্বর্ণজয়ী সামসুন্নাহার নিপা বরিশাল নাটক ও উদীচী কর্মী এবং আবৃত্তিশিল্পী ছিলেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত থাকার কারণে তিনি বেশ পরিচিত মুখ।

পুলিশ জানায়- সকালে স্বজনেরা নিপাকে ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের একটি টিম গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।

এই তথ্য নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন বলেন, নিপা মঙ্গলবার শেষ রাতে হতাশা থেকে নিজের কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর আগে ফেসবুকে ‘সব প্রস্থান বিদায় নয়’ পোস্ট দিয়ে ছিলেন তিনি।

 

ভোলায় পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর খবরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলের নেতাকর্মীরা। পরে শহরে খণ্ডখণ্ড মিছিল বের করেন তাঁরা। এ সময় শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং শহরের সদর রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির নেতারা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহমান ও ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম হত্যার বিচার দাবি করেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশের হামলায় আহত ছাত্রদল সভাপতিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। সেখানে আজ বেলা সোয়া ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড আর কত দিন চলবে?

আমরা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম ও ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের হত্যাকারী পুলিশ বাহিনীর বিচারের দাবিতে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করছি।

এ হরতালের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই আমরা আমাদের আন্দোলন করেই যাব। কোনোভাবেই আমাদের দমন করা যাবে না।