বরিশালের বানারীপাড়ায় ধারালিয়া গ্রামে বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জান্নাতুল (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত জান্নাতুল ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী পাপনের মেয়ে এবং স্থানীয় সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বানারীপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিন উদ্দিন জানান, জান্নাতুলের মা শান্তা পরকীয়ায় আসক্ত। সোমবার (১০ জুন) রাতে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। (মঙ্গলবার) সকালে জান্নাতুলকে বাসার বাথরুেেম গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মা পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়ায় কষ্ট ও লজ্জায় জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছে। তারপরেও তার প্রকৃত মৃত রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আপাতত থানায় মামলা করা হয়েছে।

পিরোজপুরের নাজিরপুরের মোবাইলফোন কিনে না দেয়ায় শিক্তা বড়াল (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্তা বড়াল ওই গ্রামের উত্তম বড়ালের মেয়ে ও নাওটানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার জন্য শিক্তা তার মা-বাবার কাছে বায়না ধরে। কিন্তু তারা মোবাইল কিনে দেননি। এ কারণে অভিমান করে শিক্তা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। শিক্তার বাবা উত্তম বড়াল ঘটনা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

উপজেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জিন্নাত তসনিম বলেন, ‘রোগী হাসপাতালে আনার সাথে সাথেই আমরা তার চিকিৎসা শুরু করি, চিকিৎসা চলাকালীন সে মারা যায়।’

নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করেছি। নাজিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে।’