বরিশালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এতে উভয়গ্রুপের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শহরের ভিআইপি গেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজের সামনে শনিবার বিকেলের এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘাতে জড়ানো প্রদীপ দাস এবং ইয়াদের অনুসারীরা সকলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনুগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে ভিআইপি গেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজের সামনে আকস্মিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে বরিশাল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন ইয়াদ এবং প্রদীপ দাসের অনুসারীরা। একপর্যায়ে উভয়গ্রুপের নেতাকর্মীরা সেখানে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় দুগ্রুপের সংঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা ইয়াদের অনুসারী আনোয়ার হোসেন (২৭) গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এই সংঘাতের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ ও ইয়াদ একে অপরের ওপর হামলার অভিযোগ এনেছেন।
ইয়াদের অভিযোগ, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তার ওপর প্রদীপ, বাকি এবং অপুসহ বেশ কয়েকজন হামলা করেছে। এসময় তাকে রক্ষায় আনোয়ার এগিয়ে গেলে আনোয়ার হোসেনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রদীপ দাস বলছেন, ছাত্রলীগ কর্মী বাকি প্রতিমন্ত্রীর রেস্ট হাউজে গেলে তাকে দেখে রেগে যান ইয়াদ। এবং এনিয়ে তার ওপর ইয়াদসহ তার অনুসারীরা চড়াও হলে তখন বাকির পক্ষ নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াদসহ তার লোকজন হামলা করেছে। এসময় নিজেদের লোকে লাঠি দিয়ে পিটুনি দিলে আনোয়ার হোসেন নামের একজনের হাতে লাগে। কিন্তু এখন আইনি সুবিধা নিতে ইয়াদ তাদের ওপর হামলা অভিযোগ আনছেন।
তবে প্রতিমন্ত্রী সমর্থিত ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘাতের বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশে কিছুই জানেনা বা তাদের কেউ কিছুই বলেওনি। ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’