নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালের গৌরনদীতে যাত্রীবাহী বাসে ড্রামের ভেতরে পাওয়া নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। পঁচিশোর্ধ্ব নারীর সাবিনা বেগম। তিনি মুলাদী উপজেলার নাজিরপুরের বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। গৌরনদী পুলিশ একদিনের ব্যবধানে শনিবার নারীর পরিচয় নিশ্চিত হলেও হত্যারহস্য উন্মেচন করতে পারেনি। তবে এই খুনের ঘটনায় আরসি পরিবহনের চালক-হেলপারসহ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে স্থানীয় ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে আরসি পরিবহনের বাস থেকে ড্রামভর্তি লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেছে। এদিকে সকালে নারীর মরদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
গৌরনদী থানা পুলিশ বাস স্টাফদের বরাত দিয়ে জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি ভুরঘাটার উদ্দেশে রওনা দিয়ে আসলে পথিমধ্যে গড়িয়ারপাড় এলাকায় ড্রামটি নিয়ে এক ব্যক্তি ওঠেন। ভুরঘাটায় বাসটি পৌঁছানোর পরপরই সেই ব্যক্তি ড্রামটি ফেলে তড়িঘড়ি করে নেমে যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্টাফরা ড্রামটির ভেতরে লাশটি দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, সুরতহাল রিপোর্টে ওই নারীর মাথার পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই নারীকে হত্যা করে লাশ গুম করতে ড্রামে ঢুকিয়ে নিরাপদ কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন- এই খুনের নেপথ্য কারণ কী তা খুঁছতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। এবং ইতিমধ্যে প্রবাসীর স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নারী কী ভাবে বরিশাল শহরে আসলেন বা কে তাকে নিয়ে এসেছেন এসব বিষয় অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’