নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন ২৮নং ওয়ার্ড (ফিশারি রোড পিছনের) এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র ফারুক হোসেন (৫৮) ওরফে মামলাবাজ ফারুকের বিরুদ্বে এক যুবকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে (০৩নং) আসামী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানীর শিকার ভুক্তভুগী যুবক আদনান হোসেন (২৬) একই এলাকার আলতাফ হোসেনের পুত্র। আদনান হোসেনের পরিবারের দাবী, মামলাবাজ ফারুক হোসেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আদনানের বিরুদ্বে গত ২০ জানুয়ারী সাজানো একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২০/০১/২০২১ তারিখ এয়ারপোর্ট থানায় (মামলা নং- ৪০৪(৫)/১) করা মামলার বিবরনিতে মারামারিতে আদনানের সম্পৃক্ততার কথা বলা হলেও ঘটনার সময় ১১/০৯/২০২১ তারিখ ঘটনার সময় আদনান এলাকায় থাকা তো দুরের কথা, বরিশালেই ছিলোনা। ঘটনার আগের দিনই (১০তারিখ রাতে) আদনান (ক্রিসেন্ট শিপিং লাইনস) সূরভী-০৯ লঞ্চে ঢাকায় গিয়েছেন। ঢাকা বাসাবো’তে একটি মেসে থাকেন তিনি। ১১তারিখ সকালে ঢাকা পৌছিয়ে নীল ক্ষেত গিয়ে বই কেনেন, সন্ধা ৭টায় সিটি কর্পোরেশনের ময়লার বিল, ও সাড়ে ৭টায় ওয়াফাই বিল পরিষদ করেন। পরবর্তিতে ওই দিন’ই তিনি তার মেসের ভাড়া পরিষধ করেন। এখনো তিনি ঢাকা অবস্থান করছেন। যার সিসিটিভি ফুটেজও আদনানের পরিবারের কাছে আছে বলে জানাজায়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (এম.বি.এর) শিক্ষার্থী ও মিথ্যা মামলায় ৩নম্বর আসামী হওয়া শিক্ষার্থী আদনান বলেন- আমাকে হয়রানী করার জন্য ফারুক হোসেন এই ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলাটি দিয়েছেন। আমি বর্তমানে মানুষিক চাপে আছে। অভিযোগ রয়েছে ফারুক ইতিপূর্বে অনেকের নামে এধরনের ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে নিজের স্বার্থ উদ্বার করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে ফারুক হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাদিকবার ফোন করা হলেও (০১৭১১-….৩১৫) ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয় সম্বব হয়নি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিরুপায় আদনান হোসেন ও তার পরিবারের দাবী অতি দ্রুত যেন ঘটনার পিছনের ঘটনা খতিয়ে দেখে মামলাবাজ প্রতারক ফারুকের লাগাম টেনে ধরে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করেন। নয়তো হয়রানীর শিকার হতে হতে অচিরেই আদনানের মতো অনেক উজ্জল ভবিষৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।