বরিশাল নগরীর এক অসহায় মেয়ে সুখী বেগম। পিতা মাতা থাকা সত্ত্বেও পরিচয় বিহীন জীবনযাপন করছে মেয়েটি।অবশেষে দীর্ঘ ৩২ বছর পর পিতৃত্বের পরিচয় ও ভরন পোষনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হল অসহায় মেয়ে সুখী বেগম। গত ২৫ জানুয়ারি বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড চানমারী মাদ্রাসা সড়কের বাসিন্ধা সুখী বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য রাখেন। মামলার বিবাদী করা হয় একমাত্র পিতা ঝালকাঠি বিশ্ব রোড চৈতি ভিলার বাসিন্ধা ও ঝালকাঠি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের কর্মরত গাড়িচালক মৃত আক্কেল আলি হাওলাদারের ছেলে মোক্তার হাওলাদার।
মামলা সূত্রে জানাযায় যাবেদা বেগম ও মোক্তার হাওলাদার দম্পতির সংসারে ২০ মার্চ ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করে। এর পর তার মা যাবেদা বেগমের সাথে তার পিতা মোক্তার হাওলাদারের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন বাদী সুখী বেগমের বয়স মাত্র ৫ বছর ছিল। বাদীর মা যাবেদা বেগম অনত্র্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে এর পর থেকে সুখী পিতামাতা হীন হয়ে বিভিন্ন মানুয়ের কাছে আশ্ররিত হয়ে লালিত পালিত হয়। বাদী বিভিন্ন মানুষেরকাছে বেড়ে ওঠার পরও বিভিন্ন ভাবে তার পিতৃ পরিচয় আদায়ের চেস্টা করলেও ব্যার্থ হয়। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর ফের সুখী তার পিতা মোক্তার হাওলাদারের বাসায় গিয়ে পিতৃপরিচয় ও ভরন পোষন দাবি করলে সুমি বেগমকে তার পিতা অস্বীকার করেন। অবশেষে অসহায় এই মে পিতার হক আদায় করতে আদালতের দ্বারস্ত হয়।