#

মো: রাজিবুল হক রাজু ( বরগুনা প্রতিনিধি)||

#

বরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিন রামনা গ্রামে এক শিক্ষার্থীকে চলন্ত ইজিবাইকে চালক কর্তৃক শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ফুলঝুড়ি খেয়াঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী বরগুনা সরকারি কলেজের অনার্স ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত চালক আল-আমীন হোসেন (২৫) বামনা সদর ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের রিকসা চালক পনু মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানায়, তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কাঠালিয়া উপজেলার চেচরী রামপুর ইউনিয়নের ভায়লাবুনিয়া গ্রামে। তিনি বরগুনার কুমড়াখালী গ্রামে মামা বাড়ি থেকে সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়েন। ঘটনার দিন তিনি কাঠালিয়া থেকে ওই ইজিবাইক যোগে বামনা হয়ে কুমড়াখালীতে যাচ্ছিলেন। ইজিবাইক বামনাতে আসার পরে চালক আল-আমীন তাকে ফুলঝুড়ি খেয়াঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। ওই গাড়িতে আর কোনো যাত্রি ওঠায়নি চালক। ফুলঝুড়ি খেয়াঘাটের কাছে বিষখালী নদীর তীরের বেরিবাঁধের উপর উঠলে চালক আল-আমীন তাকে বিভিন্ন প্রকার কু-প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে গাড়ি থামিয়ে তার শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় সে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ও চিৎকার দেয়। বরগুনা কোর্টে আসামি রেখে তখন বামনা থানা পুলিশের দুই সদস্য খেয়াঘাট থেকে থানায় ফিরছিলো। তারা তার কাছে ঘটনাটি শুনতে পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে চালক আল-আমীন হোসেনকে আসামি করে বামনা থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। আমাদের পুলিশ সদস্য ঘটনার সময় ওই পথ দিয়ে না আসলে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে রাতে একটি মামলা নিয়ে মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেই।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here