পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দলীয় অফিস ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় র্দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর করা হয়। এসময় চেয়ার ছুড়ে মারায় ১০/১২ জন আহত হয় বলে দাবী করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় দফা রাত ৯টার দিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুমের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।
এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলার সময় তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের দুটি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির প্রার্থী পৌর নির্বাচনের জনসংযোগ শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় অফিসে অবস্থান করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অফিসে ঢুকে তাদের অফিস ত্যাগ করতে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা চেয়ার ভাঙচুর করে এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাজী হুমায়ুন সিকদারকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারে। এসময় প্রার্থীকে রক্ষা করতে গিয়ে সোহেল, আজাদসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নৌকা সমর্থকরা এসে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এসময় তারা সিসি ক্যামেরা, জানালার থাই গ্লাস ভাঙচুর করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: আসাদুর রহমান বলেন, বিএনপি অফিসে দু’পক্ষের (আ’লীগ- বিএনপি) বাকবিতন্ডার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবদুর রশিদ বলেন, বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে নির্বাচন অফিসে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।