নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে হাবিবুর রহমান ফারুক নামের এক ব্যক্তি তার নিজের ছেলের চাকরির জন্য মোঃ হারুন-অর-রশিদ নামের এক প্রতারক এর কাছে ১০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেছিল, কিন্তু প্রতারক হারুন-অর-রশিদ চাকরি তো দেয়নি উল্টো হাবিবুর রহমান ফারুকের নামে মিথ্যা চেক ডিজঅনারের মামলা করে তাকে জেল খাটান। অত:পর উক্ত মিথ্যা মামলায় অ্যাডভোকেট মোঃ মোকাররম হোসেন খান মামলাটি পরিচালনা করে এবং তার দীর্ঘ প্রচেষ্টায় নিরপরাধ হাবিবুর রহমান ফারুক কে বেকসুর খালাস করতে সক্ষম হন। মিথ্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে হাবিবুর রহমান ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলের চাকুরীর জন্য আমারি বাল্যবন্ধু মোঃ হারুন অর রশিদ যিনি পেশায় একজন সরকারি চাকুরীজিবি তাকে বিশ্বাস করে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ১০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করি। কিন্তু সে আমাকে আমার ছেলের চাকুরীর একটি ভুয়া অ্যাপার্টমেন্ট কার্ড দিলে আমি সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট দপ্তরে গিয়ে দেখালে আমি সাথে সাথে পুলিশের হাতে অ্যারেস্ট হয়। পরে আমার স্ত্রী অনেক চেষ্টা করে আমাকে জামিনে মুক্ত করে নিয়ে আসে। আমি বাড়ি এসে প্রতারক হারন রশিদের কাছে টাকা ও চেক চাইলে সে অনেকদিন নয় ছয় করে আমাকে ঘুরাতে থাকে পড়ে একপর্যায়ে আমি জানতে পারি যে সে আমারই চেক দিয়ে আমার নামে একটি এন আই এক্ট এর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাহার মামলা নং সেশন ৫৮/২০। এই মামলায় আমি কয়েকদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পাই, অবশেষে অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসেন খান এর সহযোগিতায় অত্র মিথ্যা মামলা থেকে বিজ্ঞ আদালত আমাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। প্রতারক হারুন-অর-রশিদ আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে তাই আমি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।