নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীতে পাগলের বেশ ধরে এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো ও কলেজছাত্রীসহ নারীদের উত্যক্ত করা সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
গতকাল (সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম ফরাজী নামের বিশোর্ধ্ব এই যুবককে শহরের বিএম কলেজ এলাকা থেকে আটক করেন।
যুবকের বাড়ি বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে হলেও সে বরিশাল শহরে অবস্থান নিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে ছিল। এমনকি নোংরা পোশাক পরিধান করে শহরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করাসহ মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে আসছিল। এনিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবকের অসভ্যতা তুলে ধরে পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়েছিলেন।
বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের নজরে আসলে তিনি মাঠপুলিশকে যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এবং এর পরপরই সোমবার রাতে পুলিশের একটি টিম শহরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় , যুবক ইব্রাহিম ফরাজী পাগলের বেশ ধরে নারীদের উত্যক্ত করলেও তার মূল পেশা হচ্ছে চুরি। সে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করার লক্ষ্য ছিল চুরি করা। ফলে সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়ে শিক্ষার্থীদের গা ঘেষে চলাসহ তাদের কাছাকাছি গিয়ে অসভ্যতা করে আসছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ঘেটে জানা যায়, যুবক অন্তত ১০ মেয়ে শিক্ষার্থী শরীরে হাত দেওয়াসহ নানান অসভ্যতা করেছে। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ইট-পাথর ছুটে আহত করেন।
সর্বশেষ গত? সোমবার) বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে অনার্স তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর শরীরে হাত দিলে তাকে ধাওয়া করে বের করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের সূত্রে আরও জানা যায় , এমন গুরুতর অভিযোগসমূহ তুলে ধরে একাধিক শিক্ষার্থী সোমবার যুবকের ছবি সংবলিক একটি নেতিবাচক লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খানের নজরে আসে।
কোতয়ালি পুলিশ জানায়, কমিশনারের নির্দেশ পাওয়া মাত্র রাতে অভিযান চালিয়ে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং সে জিজ্ঞাসাবাদে ছদ্মবেশ ধারণসহ নারীদের উত্যক্ত করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সেই সাথে জানিয়েছে, তার মূল পেশা হচ্ছে শিক্ষার্থী এবং বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসাদের মালামাল চুরি করা।
কোতয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , যুবককে বিএমপির মিডিয়া ইউনিটের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ গিয়ে নিয়ে এসেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’