নিজেস্ব প্রতিবেদকঃআজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জমায়েত চরমোনাইর বার্ষিক (ফাল্গুনের)মাহফিল।দুপুরে যোহর বাদ বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহফিলের উদ্ভোদন করবেন। মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি জানায় মাহফিলের আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।এবারের মাহফিলে আগত মুসুল্লীদের বসার জন্য ৫ টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।ইতোমধ্যে সবক’টি মাঠ কানায় কানায় পূর্ন করে ফেলেছে মুসুল্লিরা।মাহফিলে আসা মুসুল্লিদের গোসল ওজুর জন্য আনুমানিক স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে ৫ হাজার পানির টেপ সচল করা হয়েছে।এছাড়া মাহফিল কমিটির দুটি পুকুরসহ স্থানীয় প্রায় ২০ টি পুকুর এবং কীর্তনখোলা নদীতে ব্যবস্থা করা হয়েছে।বিশুদ্ধ খাবার পানীয়ের জন্য ১৩ থেকে ১৪ টি নলকুপ রয়েছে।গভীর নলকুপ থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ৫ টি মটার সংযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সবকটি খালে পানি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য মাদ্রাসা সংলগ্ন ৪ তলা ভবনে প্রায় ২শ টয়লেট ও গোসলখানাসহ প্রায় ৫শ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে অগনিত পাবলিক টয়লেট রয়েছে। মুসুল্লিদের সেবাদানে প্রায় ৫ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবক মুজাহিদ কমিটি রয়েছে।আইন শৃংখলা রক্ষায় মুজাহিদ কমিটির সাথে শতাধিক র্যাব পুলিশ সার্বক্ষনিক মনিটরিংযে রয়েছে। মুসুল্লিদের অসুস্থতায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতালে উচ্চমান সম্পন্ন কয়েকজন ডাক্তার দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া বেশী অসুস্থ রোগীদের জরুরী ভিত্তিত্বে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে নিজস্ব এম্বুল্যান্সসহ ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুল্যান্স এবং নৌপথে স্পীড বোট রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যথেষ্ট সচেতনতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের একটি টিম সার্বক্ষনিক দায়িত্বে রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি জেনারেটর সচল রাখা হয়েছে। মুসুল্লিদের যাতায়াতে সহায়তা করার জন্য বরিশাল নগরীর বালুরঘাট, বেলতলা খেয়াঘাট এলাকায় মুজাহিদ কমিটির দুটি ক্যাম্প করা হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য মাহফিলে চরমোনাই পীরসহ দলের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম,চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান পীরজাদা সৈয়দ আবুল খায়েরসহ দেশের খ্যাতনামা আলেম ও ওলামায়ে কেরাম ওয়াজ নসিয়ত করবেন। এছাড়াও আফ্রিকা থেকে ওলামায়ে কেরাম এসে কুরআন হাদিসের নসিয়ত করবেন বলে চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম নিশ্চিত করেন। তিনদিন বয়ান শেষে আগামী শনিবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি করা হবে।