TT Ads

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্যম মহেশপুর আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উৎকোচের মাধ্যমে পক্ষাশ্রিত ব্যাক্তিকে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার পায়তারায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রমের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাকেরগঞ্জ সহকারি জজ আদালতের বিচারক মোঃ মনিরুজ্জামান এ শুনানী শেষে এ নির্দেশ দেন। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় মধ্যম মহেশপুর আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারি কম্পিউটার অপারেটর, সহকারি গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে বাকেরগঞ্জ মধ্যম মহেশপুরের কাওসার হোসেন নিরাপত্তা কর্মী, উপজেলার কাফলা এলাকার ঈশাখান ফয়সাল অফিস সহকারি কম্পিউটার অপারেটর ও ঝালকাঠী নলছিটির কামদেবপুরের মোস্তফা কামাল খোকন সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে যথাযথ কাগজপসহ আবেদন কারেন। কিন্তু সকল যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আবেদনকারি প্রার্থীদের কোন প্রকার প্রবেশপত্র ইস্যু না করে তাদের বৈধ দাবী ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ম্যানেজিং কমিটি নগরীর শহীদ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্যে করেন। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের খালাতো ভাই তসলিম উদ্দিনের চাকরীর বয়স অনেক আগেই শেষ হবার পরেও তার বরাবরে নিরাপত্তা কর্মীর প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়। এমন ঘটনায় কাওসার হোসেন ও ঈশাখান ফয়সাল লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে কামরুজ্জামান সিকদার দাতা সদস্য হওয়া স্বত্ত্বেও ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ সংক্রান্তে তাকে সংশ্লিষ্ট না করে অবৈধভাবে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পন্ন করার পায়তারায় লিপ্ত হয়। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামী ১৫ মার্চ উত্তীর্ন হবে। এতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বে-আইনীভাবে নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াসহ নিয়োগে আবেদনকারিদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে কোন প্রকার প্রবেশপত্র দেয়া হবে না এবং দাতা সদস্যকে সংশ্লিষ্ট করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। এঘটনায় গত মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন তালুকদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দাতা সদস্য কামরুজ্জামান সিকদার ও নিয়োগ প্রার্থীসহ ৪ জন যৌথভাবে মামলাটি দায়ের করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারী আদেশের ধার্য্য তারিখে বিচাররক ওই আদেশ দেন। মামলায় অন্যান্য বিবাদীরা হলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক এফএম মিজানুর রহমান, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ফিরোজ আলম হাওলাদার, অভিভাবক সদস্য মোস্তফা কামাল, সৈয়দ কামরুজ্জামান, হাবিবুর রহমান ও নাছির আকন, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য আকলিমা বেগম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি কামরুন্নাহার, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য শাহনাজ পারভীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক ও উপ পরিচালক, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা, রূপালী ব্যাংক বরিশাল সাগরদী বাজার শাখার ব্যবস্থাপক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *