পাঁচটি হত্যা মামলা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র, সন্ত্রাসী, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৯টি মামলার আসামি হয়েও বহাল তবিয়তে রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার। রোববার সকালে বরিশাল নগরীর একটি হোটেলে জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগিরা।
ইউপি সদস্য বিকাশ রায় অভিযোগ করে বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পে কাজ না করেই ভুয়া চেকে স্বাক্ষর দিতে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করায় তাকে স্থানীয় আদমকাঠি বাজারে বসে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়েছিলো। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সময়ে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে সুন্দরী কাঠ পাচারের সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের অভিযানে নৌকাটি আটক করা হয়। পরে উপজেলা বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনকে বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে সরকারি এ কর্মকর্তাকে মারধর করে আহত করা হয়। ওই ঘটনায় বরিশাল জজ আদালতে বনকর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যানের অত্যাচার, নির্যাতন আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ইতোমধ্যে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন কুমুদ বিহারী হালদার, রমেন্দ্রনাথ সিকদার, মাধব মিস্ত্রী, বিকাশ রায়, সনানন্দ সিকদার, জোছনা বিশ্বাস, দীপক বিশ্বাস, সন্তোষ মন্ডলসহ অনেক পরিবার। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানের অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে শারিরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ইউপি সদস্য বিকাশ রায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দেবেন হালদারসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
ইউপি চেয়ারম্যানের এককছত্র শাসন চলছে স্বরুপকাঠীর আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে। সাধারন মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী লালন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিয়ন্ত্রন, এলাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন না করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
ইউপি চেয়ারম্যানের এ অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, চাঁদাবাজিসহ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ইতঃপূর্বে ভূক্তভোগিরা সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ একাধিক দফতরে অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুফল পাননি। তাই ভূক্তভোগিরা তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, সামনে নির্বাচন তাই প্রতিপক্ষের লোকজনে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। অভিযোগের কোন সত্যতা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।