নিজস্ব প্রতিবেদক, চরফ্যাসন:: ভোলার চরফ্যাসনে ২১ মামলার পলাতক আসামী শীর্ষ সন্ত্রসী মুরাদ হোসেন মুন্নাকে আরোও একটি চাঁদাবাজী মামলায় বিভিন্ন ধারায় ২০ বছর এক মাসের জেল দিয়েছেন আদালত। তার সহযোগী অপর তিন আসামী আজিজ, ইউসুব, ও ফুয়াদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মুল আসামী মুরাদ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সনে দুলারহাট থানার হাজিরহাটের চৌমুহনী এলাকায় খেয়া পারাপারের ইজারা নিয়ে স্থানীয় ইজারাদার আবদুল মতিন মেম্বারের নিকট মুরাদ হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সনে আবদুল মতিন মেম্বার বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় ৩৪১,৩২৩,৩৪১,৩৮৫, ৩৭৯ ও ৫০৬ ধারায় ১৩৭/১৩ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেশন-২৫৭/১৮ চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগ সাক্ষ্যপ্রামনে চাঁদা দাবি সন্দেহতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন। মুরাদ হোসেন দুলারহাট থানার আহম্মদপুর ইউনিয়নের আবুল বাসার চাপরাশীর ছেলে। বিজ্ঞ বিচারকের এ রায়ে সন্তষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আবদুল মতিন মেম্বারসহ এলকাবাসী।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ মোজাম্মেলহক জানান,আলোচিত ২১ মামলার পলাতক আসামী মুরাদ হোসেন একজন দূস্কৃতিকারী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজী, ডাকাতি, ধর্ষণ প্রতারনাসহ মোট ২১টি মামলা চলমান রয়েছে। গত বছরের ১৬ নভেম্বর অপর একটি চাঁদাবাজী মামলায় চরফ্যাসনের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধারায় ২০ বছর চার মাসের সাজা প্রদান করেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকায় সে পলাতক রয়েছে। এজন্য তার অনুপস্থিতেই এসব মামলার বিচার কার্য পরিচলনা করা হচ্ছে।
এদিকে সন্ত্রাসী মুরাদ হোসেনকে ২০ বছরের জেল প্রদান করায় এলাকায স্বস্থি ফিরে এসেছে।