বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামানের আদালতে চলছে রায় পড়া।
জানা গেছে, বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড চান রিফাতের বাবা-মা।
সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়।
মামলার বাদী রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিন্নিসহ সব আসামির শাস্তি চাই আমরা। দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। আদালত রিফাতের খুনের সঙ্গে জড়িতদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা স্বস্তি পাই। ‘
এদিকে চোখে মুখে চিন্তার ছাপ থাকলেও পরিবারের লোকজনকে আশার বাণী শুনিয়েছেন মিন্নি। বাবার সঙ্গে আদালতের উদ্দেশে বের হওয়ার সময় বাবা-মাকে বলেছেন, তিনি নির্দোষ, খালাস পাবেন। মা-বাবাকে চিন্তা করতে বারণ করেছেন রিফাতের স্ত্রী মিন্নি।
বুধবার বরগুনা জেলা জজ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে মিন্নি একটা কথাই আমাকে বারবার বলছে, বাবা আমি নির্দোষ, আমি খালাস পাব। তুমি চিন্তা করো না। আমিও বিশ্বাস করি, মিন্নি অপরাধ করেনি, সে খালাস পাবে।’
১০ আসামির ৮ জনকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। এখনও পলাতক আসামি মুসা বন্ড। বাকি আসামি রিফাত ফরাজী, রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, টিকটক হৃদয়, হাসান বন্ড, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, সাগর ও কামরুল ইসলাম সায়মুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে।
১৫ মাস আগের নৃশংসভাবে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার বহুল আলোচিত এ মামলায় পুলিশ যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ১০ জনের বিচার চলে জজ আদালতে। বাকি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার চলছে বরগুনার শিশু আদালতে আলাদাভাবে।