ঝালকাঠি সদর হাসপাতালকে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের দালালমুক্ত করায় চাপ বেড়েছে প্যাথলোজি বিভাগে। রোববার (৭ মার্চ) ও সোমবারে (৮ মার্চ) গড় হিসেবে প্রতিদিন প্রায় শ’খানেক রোগী বিভিন্ন টেস্ট নিয়ে প্যাথলোজি বিভাগে ভিড় জমান।
প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় টেস্টের নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকেন কর্মরতরা। সরকার নির্ধারিত ফি রোগীরা পরিশোধ করার পর তা হাসপাতালের রেজিস্ট্রার বুকে লিপিবদ্ধ করা হলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় মানি রিসিট দিতে পারছেন না প্যাথলোজি বিভাগ।
সোমবার সকালে সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট সংগ্রহ করেন রহিমা বেগম (২৫)। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১৩৫৪৯/৩৬নং টিকিটে তিনি প্যাথলোজি বিভাগে ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য রক্ত পরীক্ষা করেন। তার কাছ থেকে ফি রাখা হয় ৬০ টাকা। তবে তাকে দেয়া হয়নি কোনো মানি রিসিট।
অভিযোগ উঠেছে মানি রিসিট না দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার পরীক্ষা করে মৌখিক হিসেব রেখে অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ করা হচ্ছে। এছাড়া এই পরীক্ষা ফির বড় একটা অংশ কর্মরতরা ভাগাভাগি করে নেন বলেও অভিযোগ উঠে।
প্যাথলোজি বিভাগে কর্মরত আ. সত্তার ভাগাভাগির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা তিনজন এখানে কাজ করি। আমাদের দায়িত্ব শুধু টেস্টের জন্য নমুনা নেয়া এবং রিপোর্ট দেয়া। প্রতিদিন যে পরিমাণে রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে আসেন তাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘সব কাজ করে মানি রিসিট দিতে গেলে প্রয়োজনীয় সেবাকাজ বিঘ্নিত হবে। সরকারিভাবে ক্যাশ কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হলে টেস্টের জন্য আসা রোগীদের মানি রিসিট দেয়া সম্ভব হতো’।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাফর আলী দেওয়ান জানান, হাসপাতালে সকল নাগরিকের সেবা নেয়ার সমান অধিকার আছে।
প্যাথলোজিতে মানি রিসিট দেয়া নাহলে রোগীরা নিজেদের উদ্যোগে চেয়ে নিতে পারেন বলেও জানান তিনি।