নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বরিশাল নগরীর টপটেন মার্ট শোরুমে লুটতরাজের ঘটনায় আরও ১৪ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ৯ মার্চ মঙ্গলবার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান অভিযুক্তদের হাজতে পাঠিয়ে দেন। হাজতে যাওয়া অভিযুক্তরা হচ্ছে, বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউ এলাকার মৃত্যু আব্দুর রহিম কাজীর ছেলে মারুফ হাসান টিটু (২৬),নিউ সার্কুলার রোড এলাকার সেলিম মৃধার ছেলে মুহিদুল ইসলাম মুহিদ (২০), লুতফর রহমান সড়কের বাসিন্দা আজিজ হাওলাদারের ছেলে তাজিম হাওলাদার (২২), কলেজ রো এলাকার সৈয়দ মহসিন হিমুর ছেলে সৈয়দ আলিফ হোসেন হিরা (২৪), সুভাষ চন্দ্র শীলের ছেলে শুভ শীল (২৪), বিএম কলেজের সামনের এলাকার আইনুল হকের ছেলে সুখ রানা হক (২৪), গনপাড়া এলাকার বাগান আলী সিকদারের ছেলে সুজন (২২), মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আমিরগঞ্জ এলাকার আঃ জলিলের ছেলে নাজমুল হাসান রনি (২১), নগরীর হাটখোলা রোড এলাকার নাসির হোসেনের ছেলে নাদিম মাহমুদ হৃদয় (২০), কলেজ রো এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে ফাহিম হোসেন (২১),লুতফর রহমান সড়কস্থ ইউনুস আরিন্দার ছেলে আল আমিন হোসেন সোহান (২১), কাশিপুর মহুয়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মিজান শরীফ (২২), মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর এলাকার সবুজ মোল্লার ছেলে ইকবাল হোসেন (২০) ও নগরীর কশাইখানা এলাকার জয়নাল হাজারীর ছেলে নিলয় আহম্মেদ রাব্বি (২০)। ৮ মার্চ বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় নামধারী ২১ জন ও অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন টপ টেন মার্ট শো রুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইমরান শেখ। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো তারা শো রুমে বেচা বিক্রির কাজ করছিল। বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটের দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল ভাগাভাগি করে শো রুমে প্রবেশ করে শার্ট প্যান্ট কিনবে বলে জানায়। তারা বিভিন্ন ধরনের মালামাল গুছিয়ে নেয়া শুরু করে। তাদের আচরণ অসন্তোষ হলে ক্যাশ কাউন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এতে তারা শো রুমের বিক্রয়কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ হুমকি ধামকি দেয়। বিল চাইলে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন দেবে বলে জানায়। বিক্রয়কর্মীরা জসিম নামে কেউ বিল দেবে বলে তারা জানেনা বলে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা লুটতরাজ চালিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে লক করা কাচের দরজা ভেঙ্গে চলে যায়। এসময় ওই ৫ জনকে তারা আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ৫ জনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। ইমরানের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।তাদের মধ্যে রাকিব ওইদিনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। ৮ মার্চ আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ৫ জনকে হাজতে পাঠিয়ে দেন। তার জবানবন্দী ও ঘটনার সময়ে ধারনকৃত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে থানা পুলিশ আরও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠিয়ে তাদের জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন জানায় কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই আশরাফুল আলম। আদালত ১৪ জনকে হাজতে পাঠিয়ে দেন বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেন।