নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও পটুয়াখালী:: পটুয়াখালী জেলা বিএনপির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তা নিভিয়ে ফেলে। ফলে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে পটুয়াখালীর বনানীতে বিএনপি কার্যালয়ে এই আগুনে বড় ধরনের কোনও ক্ষতি হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১০ থেকে ১২ টি মোটরসাইকেলে ২০/২২ জন লোক এসে প্রথমে অফিসের সামনে ভাঙচুর করে। তারা সবাই অল্প বয়সি পোলাপান। পরে পাশে মোটরসাইকেলের গ্যারেজ থেকে হাতুড়ি এনে তালা ভাঙে। এরপর ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা ব্যানার ও কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
বিএনপির জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন নান্নু বরিশালটাইমসকে বলেন, আমি শব্দ শুনে এসে দেখি হেলমেট পরিহিত ২৫ থেকে ৩০ জন লোক হবে। তারা অফিসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চেয়ার থেকে শুরু করে তারেক রহমানের ছাবি পর্যন্ত সবকিছু ভেঙে ফেলে। স্টিলের আলমারি ভেঙে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নামিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘সকালে আমাদের বিক্ষোভ মিছিলে বের হয় পুলিশের বাধায় মিছিল করতে পারিনি । এরপর থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করেছে ছাত্রলীগের ছেলেরা। দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাতে আমাদের অফিসে ভাঙচুর করেছে এবং আগুন দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর ফোনে কল দিলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ বরিশালটাইমসকে বলেন, কার্যালয়ের সামনে কিছু ব্যানারে আগুন দিয়ছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করবো। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’