ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. পলাশ তালুকদারের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া অষ্টম শ্রেণির শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল ও দুই মামলায় পাঁচ বছরের সাজার তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. হুমাযুন কবির। তিনি কাউন্সিলরের গেজেট বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বর্তমান কাউন্সিলর পলাশ তালুকদার ঝালাকাঠির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চুরি মামলায় দুই বছর ও ঝালকাঠি সেশন জজ আদালতের চাঁদাবাজি মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ তথ্য তিনি নির্বাচনী হলফনামায় গোপন করেছেন। হলফনামার শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে অষ্টম শ্রেণি পাস উল্লেখ করেছেন। মনোয়নপত্রের সঙ্গে তিনি জাল সনদপত্র সংযুক্ত করেছেন। সনদপত্রে থাকা সিদ্ধকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরটিও জাল। পলাশ তালুকদার কোনোদিন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না মর্মে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল হাওলাদার প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। এসব প্রমাণাদি নির্বাচন কমিশন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছে গত ৪ মার্চ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।
একই দিন নলছিটি পৌরসভা নির্বাচন-২০২১ এর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সির কাছে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এরপরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলর পলাশ তালুকদারের গেজেট বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি (হুমায়ুন কবির) গত ২১ মার্চ আদালতে মামলা করেন। জানতে চাইলে কাউন্সিলর পলাশ তালুকদার বলেন, মামলাগুলোতে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও উচ্চ আদালত থেকে নিষ্পত্তি হয়েছে। আর সনদ সঠিকই আছে। প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।