#

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বহুল বিতর্কিত হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের মতো নিজের প্রথম স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্বেও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে শরিয়ত মোতাবেক এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিজের স্ত্রী দাবি করে বরিশাল নগরীর মাহামুদুল হাসান আনসারী।

#

তিনি (আনসারী) পেশায় ১১নং ওয়ার্ডস্থ বঙ্গবন্ধু কলোনী মসজিদের ইমাম। একই ওয়ার্ডের মাদ্রাসা গলির বাসিন্দা এক প্রবাসীর চল্লিশোর্ধ্ব স্ত্রীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নাটকীয়ভাবে বিয়ে করার কথা বলে শারিরিক সর্ম্পক করে দুইবার গর্ভপাত করানো এবং তার অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়েছে মাহামুদুল হাসান আনসারী। সর্বশেষ নগরীর অভ্যন্তরের একটি মূল্যবান জমি নিজের নামে লিখে নেওয়ার কৌশলে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় দুই সন্তানের জননী ওই নারী কোতয়ালী মডেল থানায় পঞ্চাশোর্ধ্ব আনসারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আজ শুক্রবার সকালে অভিযোগের তদন্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই ওয়ার্ডে পুলিশ কর্মকর্তা রুমা আক্তার বলেন, ভূক্তভোগী নারীকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দেয়ার জন্য থানায় আসতে বলা হয়েছে।

ভূক্তভোগী ওই নারী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার স্বামী প্রবাসে থাকাকালীন ২০১৩ সালে তার বাসায় গিয়ে দুই শিশু পুত্রকে মাহামুদুল হাসান আনসারী আরবি শেখাতেন। ওইসময় তাকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নানানভাবে আনসারী উত্যক্ত করতেন। এরইমধ্যে নাটকীয়ভাবে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আনসারী দাবি করে শরিয়ত মোতাবেক তাকে (নারী) সে বিয়ে করেছে। পরবর্তীতে একই বছরের ২ মার্চ থেকে তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তার (নারী) সাথে আনসারী শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, একই বছর ওই নারীকে ফুঁসলিয়ে তার কাছে থাকা পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যায় আনসারী। এরপূর্বে নারীর পেটে দু’দফা সন্তান আসলে ভুল বুঝিয়ে তা গর্ভপাত করায় আনসারী। সর্বশেষ একটি সন্তান গর্ভে আসলে সেটিও পূর্বের দুটির মতো গর্ভপাত করতে বললে নারী আপত্তি জানানোর পর তাকে মারধর করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা ভূক্তভোগী নারী মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, তাকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে কাবিন ছাড়াই বিয়ে করার দাবি করে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলো আনসারী এবং তার কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন তার নামে শহরের রূপাতলীতে থাকা একখন্ড জমি আনসারীর নামে লিখে না দিলে সে আমাকে (নারী) এবং আমার পেটের সন্তানকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

শুক্রবার সকালে ওই নারী সাংবাদিকদের ফোন করে জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর আনসারী গ্রেফতার আতঙ্কে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে একটি কাজী অফিসে নিয়ে কাবিন করেছে। কিন্তু তার ভরণপোষণ বা থাকার কোনো ব্যবস্থা করে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে তিনি থানা পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাহামুদুল হাসান আনসারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here