ভোলার চরফ্যাশনে ঘুমন্ত গৃহবধূর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া লম্পটের পুরুষাঙ্গ কেটে নিজের সম্ভ্রম বাঁচালেন এক গৃহবধূ। ধর্ষণের উদ্দেশে রাতের আধারে হামলা করেছে বলে অভিযোগ গৃহবধূর।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ভাসানচর গ্রামের আবাসন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। নাঈম একই গ্রামের আজম আলী সর্দারের ছেলে। এলাকায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাত।
গৃহবধূ জানান, তার স্বামী ঘটনার রাতে বাড়ি ছিলেন না। ঘরে শিশু সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। গভীর রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে যান। এ সময়ে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা নাঈম ঘরে ঢুকে চকির নিচে লুকিয়ে থাকে। বাহির থেকে এসে দরজা বন্ধ করে আবারও ঘুমিয়ে পড়লে নাঈম তাকে ঝাপটে ধরে এবং মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে ধস্তাধস্তির মধ্যেই চৌকির পাশে সেলাইরত কাঁথার সাথে থাকা ব্লেড নিয়ে নাঈমের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।
প্রতিবেশী মাকসুদ জানান, পুরুষাঙ্গ কাঁটার পর যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন নাঈম। ডাকচিৎকারে তারা ছুটে আসেন এবং নাঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।
গৃহবধূ আরো জানান, স্বামীর সাথে পূর্বপরিচয়ের সূত্রে নাঈম তার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এক পর্যায় নাঈম তাকে কু-প্রস্তাব দিতে শুরু করে। বিষয়টি তিনি স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের অবহিত করেন।
গ্রামবাসীরা জানান, নাঈম বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
চরফ্যাশন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল আহমেদ মিয়া জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা লম্পট নাঈমকে (৩৫) উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু পুরুষাঙ্গে ৫০ ভাগ ক্ষত থাকায় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।