মো:রাজিবুল হক(বরগুনা সংবাদদাতা):
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামে (২৬ এপ্রিল) সোমবার জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ফেরদৌসকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৯ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামের মজনু মাতুব্বর তার চাচাতো ভাই আবুল মাতুব্বরের নিকট থেকে ১৫ শতাংশ জমি নগদ টাকায় ক্রয় করেন। ওই জমিতে মজনু এ বছর হাইব্রিড ধান চাষ করেছে। সোমবার দুপুরে ওই জমির ধান কাটতেছিল মজনু। এ সময় সোহরাফ মাতুব্বর ও বশির মাতুব্বর এসে জমির ধান কাটতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত সালমা (৩২), হালিমা (৫০), জাকারিয়া (৩০),মজিবুর (৬০), মজনু (৩২), ফেরদৌস (৩৫), সোহরাফ মাতুব্বর (৫৫), বশির মাতুব্বর (৪০), সগির (২৫) ও এলিচকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ফেরদৌসকে সঙ্কটজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা বলেন, মজনু মাতুব্বর তার জমির ধান কাটতে গেলে সোহরাফ মাতুব্বর বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
আহত মজনু মাতুব্বর বলেন, আমি আবুল মাতুব্বরের কাছ থেকে নগদ টাকায় ১৫ শতাংশ জমি এক বছরের জন্য ক্রয় রেখেছি। ওই জমির ধান করতে গেলে সোহরাফ মাতুব্বর ও তার লোকজন বাঁধা দেয়। পরে তারা আমাকেসহ আমার ৮ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আহত সোহরাফ মাতুব্বর বলেন, আমার জমির ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছিল মজনু মাতুব্বর। এতে আমি বাঁধা দিলে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।