নিজস্ব প্রতিবেদক ||বাকেরগঞ্জ ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম খান এর বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় থাকেন না,অন্য পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি,তার নির্বাচন করেছে যারা, দলের লোকজনের আত্মীয়-স্বজন, ও তার স্বজনদের নাম দিয়ে চাল আত্মসাত করেছেন। এছাড়া এক ব্যক্তির নামে একাধিকবার চাল উত্তোলন দেখিয়েছেন তিনি। প্রকৃতপক্ষে তারা চাল পাননি।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, নদীতে দুই মাস (মার্চ-এপ্রিল) জাতীয় মাছ ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ। এ কারণে সরকার বেকার হতদরিদ্র জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ২ কিস্তিতে ৮০ কেজি চাল প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাকেরগঞ্জ ইউনিয়ন মোট নিবন্ধিত জেলে যারা আছে তাদের চাল না দিয়ে অন্যদের চাল বিতরণ করছে চেয়ারম্যান । চলতি অর্থবছরে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা ১৩০ জন জেলের জন্য চাল বরাদ্দ করেন।
অতিদরিদ্র প্রত্যেক জেলে ৮০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান একজনকে ২০ কেজির বেশি চাল দেননি।
এব্যাপারে নামপ্রকাশে ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক মেম্বার প্রার্থী জানান , এলাকায় থাকেন না, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, নামে-বেনামে, একই ব্যক্তির নামে চাল তুলেছেন।
যে সমস্ত ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের নির্বাচন এবং চেয়ারম্যানের কথায় উঠবস করে ওই সমস্ত ইউপি সদস্যর লোকজন এই জেলেদের জাল পেয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, অনেক নিবন্ধিত জেলে চাল পায়নি। সেই সমস্ত চাল দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ারম্যান ভাগ করে দিয়েছে।
চেয়ারম্যান, মেম্বার, তার স্বজন ও ক্যাডার বাহিনী চাল পেয়েছে। অনেক নিবন্ধিত জেলেকে চাল না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
এ ছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাবিখা, কাবিটা, অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি, এলজিএসপি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এক জেলের স্ত্রীর জানান, জেলের চাল জেলেকে না দিয়ে আত্মসাতের ঘটনা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আমরা অভিযোগ করব। আমাদের প্রত্যেককে ৮০ কেজি করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও, দিয়েছে ২০ কেজি করে।এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম খান তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ২০ কেজি করে দিয়েছি তা ঠিক আছে।বরাদ্দ এসেছে ১৩০ জনের নামে কিন্তু মোট জেলে আছে ৩৭৫ জন।আমি সবাইকে সম্বনয় করে ভাগ করে দিয়েছি। চেয়ারম্যানের নিজের লোকদের ৩০ থেকে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছেন এ ব্যাপারে আরও জানতে চাইলে সে জানান,যারা ১২ মাস মাছ ধরে তাদের একটু বেশি দিয়েছে।আর যারা সিজনাল ব্যবসা করে তাদের কম দিয়েছি।৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জাকির মোল্লা জানান,চাল কম দেওয়ার কারণে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কোন জেলে চাল নেয়নি।আমাকে পাঁচটি কার্ড দিয়েছে তাও আমাকে লাঞ্ছিত করে নিয়ে নিয়েছে তার দলের ক্যাডার আজিম।১৩০ জনের বরাদ্দ আসলেও প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬০ কেজি করে চাল আত্মসাৎ করেছেন এই চেয়ারম্যান। ১৩০ জন কে চাল না দিয়ে চাল দিয়েছে ১১০ জন কে।প্রত্যেকের সাথে কথার (রেকর্ড রয়েছে)। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের (প্রমান সহ) বিস্তারিত আসছে দ্বিতীয় পর্বে।