মো:রাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি)
বরগুনার বামনায় এক প্রতিবন্দী নারীর বসত ঘর দখল ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের মৃত মুকুন্দ দাসের স্ত্রী উষা রানি ও ছেলে সুভাষ দাস তার পিতার জমিতে একটি ঘর নির্মান করে বসবাস করেন। একই সূত্রে জমের বাসিন্দা মৃত রাধেশ্যাম দাস এর দুই ছেলে সঞ্চিত দাস ও সুজিৎ দাস সহ আর ভারাটিয়া কিছু মাস্তান নিয়ে গতো ৫ মে দুপুর ১ টার সময় হতদারিদ্র উষা রানীর কে গাছের সাথে বেধে ও তার ছেলে সুভাষ কে মারধার করে বসবাস করা ঘরটি ভেঙে নিয়ে যায়।
মহিলার প্রতিবেশী বামনা মহিলা কলেজের শিক্ষক অমল চন্দ্র শীল বলেন তাদের নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে এ বিষয়ে অনেকবার শালিস বৈঠক হয়েছে।আমি পটুয়াখালী আছি মারামারির ঘটনা জানিনা।
এই জমি জমা নিয়ে উভয় পক্ষে অনেক বসর যাবত বিরোধ চলে আসছিলো, এই জমির বিরোধ মিমাংসা করার জন্য বামনা স্থানীয়রা গন্যমান্য ব্যক্তিদের ১৩ জনের উপস্থিতে গত বছর নভেম্বর মাসের ১ তারিখ শালিশি বৈঠক হয়, সেখানে শালিস গন সব কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে, অভিযোগ কারি সুভাষ দাস ৪৮৭ নং খতিয়ানের ৯৮৪ ও ৯৮৫ নং দাগের বিক্রি বাদে প্রায় ৩১ শতাংশ জমি পাবে। সেই রোয়দাত নামা অমান্য করে তারা বসত ঘর ভাংচুর করে। এই ঘটনায় অভিযোগ কারি সুভাষ বলেন, আমি বামনা থানায় অভিযোগ করছি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্চিব ও সুজিৎ বলেন আমার বাবা মুকুন্দ দাসের নিকট হইতে ১৯৭৯ সনে ছাফ কবলা করেন। সেই থেকে আমরা জমিজমা ভোগ করে আসছি। আমারা কোন ঘর ভাংচুর করিনি। তারা নাটক করে আমাদের নামে অভিযোগ করছে । বামনা থানা ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।