#

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা সংবাদদাতা)
বরগুনা সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বরগুনা উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে বরগুনা উপজেলা কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় ঠিকাদার মো. ফরহাদ জোমাদ্দার তাকে মারধর করেন। তবে ঘটনার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা কার্যালয়ে সামনে মোটরসাইকেলে বসেছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। এ সময় ঠিকাদার ফরহাদ জমাদ্দার তাকে ঘুষখোর বলে গালামন্দ দিতে থাকেন। প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার প্রকৌশলীর মোটরসাইকেলে লাথি মেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর মিজানুর রহমান উঠে দাঁড়ালে ফরহাদ জমাদ্দার তাকে কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে সদর উপজেলা পরিষদের ও উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মচারীরাসহ সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বরগুনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আহমদ সোহাগ বলেন, উপজেলা পরিষদে আমাদের একটি মিটিং ছিল। মিটিং শেষ করে ভবন থেকে নামার সময় আমরা দেখি মারামারি করছেন তারা। সেখানে আমিসহ কয়েকজন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলাম। পরে আমরা পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে কী নিয়ে ঘটনা ঘটেছে, তা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. ফরহাদ জমাদ্দার বলেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান একজন অসৎ কর্মকর্তা। ঘুষ ছাড়া তার কলম চলে না। ঘুষের জন্য তিনি আমার জামানতের টাকা আটকে রেখেছেন। বরগুনার অনেক ঠিকাদারের টাকা তিনি আটকে রেখেছেন আবার অনেকে ঘুষ দিয়ে জামানতের টাকা পেয়েছেন। আমি ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমার কাজ করবেন না। এ জন্য আমি তাকে মেরেছি। পরে আবার তার পা ধরে মাফ চেয়েছি।
মো. মিজানুর রহমানের দাবি, ফরহাদ জমাদ্দার তার এলাকার বড় ভাই। কিছু ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে আরিফুল ইসলাম।

#
#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here