বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে চলছে লকডাউন তথা বিধিনিষেধ। এতে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। এর মধ্যেই গত ১৪ এপ্রিল দেশে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। যে যেখানে আছে সেখানে ঈদ করার নির্দেশনা থাকলেও নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। ঈদ শেষে আবার যার যার কর্মস্থলে ফিরেও এসেছে মানুষ।
এই অবস্থায় ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ১৪ দিনে দেশে মোট ২৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২৯১ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
সংগঠনটি জানিয়েছে, দেশের ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় গত ৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
এ ছাড়া উল্লিখিত সময়ে ৪টি নৌ দুর্ঘটনায় ৩ জন এবং একটি রেলপথ দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয় বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের পর্যবেক্ষণের ফলাফল অনুযায়ী জানিয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৯৪টি বা ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে। ৩৭ দশমিক ২৩ শতাংশ বা ৮৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে। ৩৪টি বা ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ দুর্ঘটনা গ্রামীণ সড়কে ঘটেছে। এ ছাড়া ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ বা ১৮টি শহরের সড়কে এবং ৪টি বা ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ। সময়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে, যা মোট দুর্ঘনার ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ ছাড়া দুপুর ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিকেলে ২৩ শতাংশ এবং রাতে ঘটেছে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ৬৪, খুলনায় ৮ দশমিক ৭৮, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ৭৩, সিলেটে ৭ দশমিক ৫৩, রংপুরে ৬ দশমিক ২৭, ময়মনসিংহে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং বরিশাল বিভাগে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।