বিয়ের তিন মাস না পেরোতেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে অর্পিতা মজুমদার (১৮) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে।পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলায় শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায়সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় অর্পিতার বাবা লিটন মজুমদার বাদী হয়ে তার মেয়ের জামাই সবুজ রায় ওরফে শৈসব রায়, শ্বশুর শৈলেন্দ্রনাথ রায়, শাশুড়ি যমুনা রায় ও প্রতিবেশী অনুপ রায়কে আসামি করে শুক্রবার (২১ মে) রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় শুক্রবার রাতেই শৈলেন্দ্রনাথ রায় ও অনুপ রায়কে তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার (২২ মে:) পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মেয়ের বাবা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেতলোচ গ্রামের লিটন মজুমদারের মেয়ে অর্পিতাকে স্বরূপকাঠির আতা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে সবুজ রায় প্রেম করে বিয়ে করে। মেয়ের বাবা গরিব হওয়ায় বিয়েতে অমত দেয়া ছেলের পরিবার একসময় এলাকাবাসীর চাপে মেয়েকে ঘরে তুলতে বাধ্য হয়। ঘরে নেয়ার পর থেকেই অর্পিতার উপর নেমে আসে শ্বশুর, শাশুড়ির অমানুষিক নির্যাতন। এক সময় বাবা মায়ের কথা মত সবুজও তার স্ত্রীকে নির্যাতনে যোগ দেয় এমনকি সে নিজেদের ঘরে স্ত্রীকে রেখে প্রতিবেশী ক্ষিতীষ সাধকের বাসায় থাকতো।
গত ১৯ মে সকালে অর্পিতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি তাকে মারধর করলে ওই রাতে অর্পিতা বিষপান করে। পরে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নেছারাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমান জানান, অর্পিতার বাবা চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।