#

কত বড় ফুটবলার ছিলেন, এর আগে তার পরিচয়- স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গর্বিত সদস্য তিনি। ৭০ দশকের সেই তুখোড় স্ট্রাইকার নওশেরুজ্জামান আর নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

#

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালের আইসিউতে ছিলেন নওশেরউজ্জামান। রাজধানী গ্রিনলাইফ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর। সপ্তাহখানেক আগে তাকে নেয়া হয় ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউতে করোনার সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন তিনি।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে তাকে নেয়া হয় মুগদা হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ খালি না পাওয়ায় পরে নেয়া জয় গ্রিনলাইফ হসপিটালে। সেখানে চিকিৎসা নিয়েও তার অবস্থা কোনো উন্নতি হচ্ছিল না। শেষে ইবনে সিনায় স্থানান্তর করা হয় মোহামেডানের এই তারকাকে। সেখানে তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। পরিবারের সঙ্গে যোগ হয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টাও। সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করে তাকে সুস্থ করার নির্দেশনা ছিল।

কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ৭২ বছর বয়সী এই ফুটবলযোদ্ধা ইহলোকের মায়া কাটিয়ে গেলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তার মরদেহ আনা হবে বলে জানা গেছে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে তার নামাজে জানাজা।

তার স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অন্য একটি হাসপাতালে। মৃত্যুকালে নওশেরউজ্জামান এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-পরিজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। কাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে।

মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দীন, কাজী সালাউদ্দীন ও এনায়েতুর রহমানদের স্বর্ণ সময়ে ঢাকার ক্লাব ফুটবলে ঢাকা মোহামেডানের অন্যতম স্ট্রাইকার ছিলেন নওশেরউজ্জামান। ১৯৭৫ সালে ঢাকা লিগে ২১ গোল দিয়ে সর্বাধিক গোলদাতাও হয়েছিলেন তিনি।

ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলেছেন সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে। ঢাকা মোহামেডান ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে প্রায় এক যুগ ঢাকা ক্রিকেট লিগও খেলেছেন নওশের। ফুটবলার নওশেরের পজিশন ছিল স্ট্রাইকার। আর ক্রিকেটার নওশের ছিলেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here