#

আগের কয়েক বছরের তুলনায় আগামী দুই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা বেশি থাকবে বাংলাদেশের। এই দুই বছরে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে অন্তত ১১১টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। নতুন সূচি অনুযায়ী, ২০২১ সালে ৫৭টি আর ২০২২ সালে ৫৪টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে ডমিঙ্গোর দলের।

#

ক’দিন পর থেকে দম ফেলার সুযোগটাও পাবে না ক্রিকেটাররা। এফটিপি বলছে, গেলো ক’মাসে অনুষ্ঠিত না হওয়া একাধিক সিরিজের পাশাপাশি নতুন করে অনেক খেলাই যোগ হচ্ছে আগামী দু’বছরের সূচিতে।

টাইগারদের ম্যারাথন দৌড়ের শুরুটা হচ্ছে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যাত্রাও শুরু এ সিরিজেই।

২০ ফেব্রুয়ারি সিরিজ শেষ হতেই ডমিঙ্গোর দল উড়াল দেবে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে। এপ্রিল মাসটায় বিশ্রাম পাবে দল। চলতি বছর ডিসেম্বরের ওয়ানডে সিরিজটি পিছিয়ে আগামী বছর মে’তে খেলতে আসবে শ্রীলঙ্কা।

জুন মাস বরাদ্দ এশিয়া কাপের জন্য। ফাইনাল পর্যন্ত গেলে যেখানে বাংলাদেশ দল খেলবে ৬টি টি-টোয়েন্টি।

জুন-জুলাইয়ে টাইগারদের গন্তব্য জিম্বাবুয়ে। দেশে ফিরে আগস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে করোনায় স্থগিত থাকা টেস্ট সিরিজ। সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। তবে, অজিদের বিপক্ষে স্থগিত থাকা টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশে আসায় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে চাইছে বিসিবি। এছাড়া, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ইংল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে বোর্ড।

অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে। প্রাথমিক পর্বে ৩ ম্যাচ। সেটি পেরোতে পারলে শীর্ষ ১২’তে আরও ৫টি।

নভেম্বর-ডিসেম্বরে আসবে পাকিস্তান। এর পরপরই টেস্ট সিরিজের জন্য নিউজিল্যান্ডে যাবে মুশফিক-মুমিনুলরা।

২০২২’এর শুরুটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে রশিদ খানরা খেলবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপরই টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকায়। ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ টাইগাররা খেলবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই।

মে’তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজের পর দল যাবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষে ধরতে হবে আফ্রিকার বিমান। জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জুলাই-আগস্টে।

সেপ্টেম্বরে রয়েছে এশিয়া কাপ। আর অক্টোবরে ঢাকায় পা রাখবে নিউজিল্যান্ড দল। এরপর অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায়।

বছরটা শেষ হবে ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে কোহলিরা খেলবে টেস্ট ও ওয়ানডে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here