#
 বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ||
পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে এক কিশোরীকে বিয়ে করে সমালোচিত সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বডিগার্ড কাম-গাড়ির ড্রাইভার রুবেলের হাতে পিস্তলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। আর এই পিস্তলের উৎস নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। পিস্তলটি বৈধ নাকি অবৈধ?
জানা গেছে, রুবেল হোসেন ৪ বছর ধরে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারাম্যান শাহিন হাওলাদারের বডিগার্ড কাম-মোটরসাইকেলের ড্রাইভারের দায়িত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যান যেখানেই যান সেখানেই রুবেলকে সঙ্গে করে নিয়ে যান।
সম্প্রতি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার এক প্রেমিক-প্রেমিকার সালিশ করতে গিয়ে কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় বিয়ে করেন। ৬০ বছর বয়সে এক কিশোরীকে বিয়ে করে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। এ নিয়ে যুগান্তরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। এরপর বিয়ের একদিন পরেই চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দেন ওই কিশোরী।
এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বডিগার্ড কাম-বাইকচালক রুবেলের পিস্তল হাতে ছবি ভাইরাল হয়েছে। অলোচনায় চলে এসেছেন রুবেল।
রুবেলের বাবার নাম রাজ্জাক সিকদার। তার বাড়ি কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভুখালি গ্রামে। রুবেলের হাতে পিস্তলের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর পিস্তলের উৎসহ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। পিস্তলটি বৈধ নাকি অবৈধ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কনকদিয়া ইউনিয়নের এক সাবেক ইউপি সদস্য বলেন, পিস্তলটি আসল না নকল তা জানি না। তবে তাদের কাছে পিস্তল আছে এটা জানি। আর এই পিস্তলের ভয়ের কারণে এলাকার মানুষ শাহিন চেয়ারম্যানের অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
অভিযোগ রয়েছে এই পিস্তলের ভয় দেখিয়ে কিশোরী নাছমিন আক্তার ওরফে নছিমনকে চেয়ারম্যান শাহিনের সঙ্গে বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছে। নছিমনের প্রেমিক রমজান একই অভিযোগ করেছেন যুগান্তরের কাছে।
রোববার দুপুরে তিনি বলেন, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে কনকদিয়া গ্রামের চুনারপুল এলাকা থেকে চেয়ারম্যানের অনুসারী সিজান নামের এক যুবক তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে জোর করে বাইকে তুলে পটুয়াখালী নিয়ে যায় এবং চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের এক ভাগ্নের বাসায় আটকে রাখে। সেখান থেকে চার দিন পর কৌশলে সে পালিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বডিগার্ড কাম-বাইকের ড্রাইবার রুবেল হোসেনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পরে পিস্তলের ছবিটি সংগ্রহ করেছি। ছবিটি দেখে প্রথম পর্যায়ে আমার কাছে খেলনা পিস্তলের মতো মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপরে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে আনগত ব্যবস্থা নেব।
#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here