TT Ads

 

বরগুনায় মায়ের কাছে চিঠি লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সামিরা (১৪) নামের এক কিশোরী। সোমবার (০৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে জামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা ।

নিহতের মা সুমী বেগম জানান, সামিরা তার প্রথম স্বামী রফিকের সন্তান এবং অস্টম শ্রেণির ছাত্রী। সুমী তার বর্তমান স্বামী রাশেদের অন্য সন্তানদের সঙ্গে নিয়েই পৌরসভার কলেজ রোডে আবুল বাশারের বাসায় ভাড়া থাকেন। আবুল বাশারের ছেলে জামাল হোসেন স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও কিশোরী সামিরাকে উত্ত্যক্ত করতেন। একাধিকবার সামিরাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন তিনি।

গত কয়েকদিন ধরে সামিরা ও জামালকে জড়িয়ে প্রতিবেশীরা অনৈতিক সম্পর্কের কথা বলাবলি করছিল। গতকাল রোববার রাতে বাসার মালিক আবুল বাশারকে ফোন করে তার ছেলের কর্মকাণ্ডের কথা জানান সুমী বেগম। আবুল বাশার গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে এসে জামালকে শাসন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। জামালের সঙ্গে সামিয়ার কোনো ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ নেই, এ কথা তার মা ছাড়া অন্য কেউ মেনে নিচ্ছিলেন না। মা ছাড়া সবাই সামিরাকে গালমন্দ করছিল। আত্মহত্যার আগে সামিরা তার মায়ের কাছে চিঠি লিখে রেখে যায়।

ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘মা, আমার নামে তারা যে বদনাম উঠিয়েছে, তাতে আমি এ পৃথিবীতে থাকতে পারছি না। আমি একটা খারাপ মেয়ে। আমি নাকি খুব খারাপ। মা তুমি ভালো থেকো। আমাকে কেউ বিশ্বাস করে না। কেউ না তুমি ছাড়া। ইতি তোমার সামিরা।’

এ বিষয়ে বরগুনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, জামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। সামিরার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *