নিজস্ব প্রতিবেদক॥ তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনায় মামত ভাই ও যুবলীগ নেতার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ফুফাত ভাই। বুধবার দুপুর ১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মুসলিম গোরস্থান রোডের পন্ডিত বাড়ির বাসিন্দা মৃত অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমানের ছেলে শাহারিয়া মো. সালা উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৮ বছর যাবৎ আমার মামাতো ভাই মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়া সাচিব রাজিব কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছি।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১ আগস্ট রাজিবের বালুর ট্রাক ঢুকে আমাদের ড্রেনের ওপর নির্মিত স্লাব ভেঙে ফেলে। এ বিষয়ে আমি তার কাছে জানতে চাইলে সে আমাকেসহ পরিবারের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং হামলা করে।
এক পর্যায় ষ্টীলের জিআই পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে চাইলে আমি হাত দিয়ে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করি। এতে প্রচ- আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমার ডান হাত ভেঙে যায়। এই ঘটনায় আমি থানায় এজাহার দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়া মো. সালা উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, ‘শাহরিয়া সাচিব রাজিব একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ী। ইতোপূর্বে তিন-চারবার তিনি ফেন্সিডিলসহ মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়। এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।
আমি বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে তাতেও সে বাধা দেয়। আমার কাছে সে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণ এবং আমার মেঝ ভাইকে মারধর করে। এমনকি আমার নিজের একটি মোটরসাইকেল কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। তার পরিবারকে এ বিষয়ে বহুবার জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই আমরা এবং আমাদের ভাড়াটিয়ারা তার ভয়ে ভিত হয়ে থাকি।
তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বরিশালের সিটি মেয়র, প্রতিমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং জেলা প্রশাসনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধাণ সহ বিচারের দাবি করেন সালা উদ্দিন।
এদিকে, ‘সংবাদ সম্মেলনে ফুফাতো ভাইয়ের করা অভিযোগের কিছু অংশ অকপটেই স্বীকার করেছেন সাহারিয়া সাচিব রাজিব। তিনি বলেন, ‘সালা উদ্দিন আমার জমি দখল করে একটি ড্রেনের ওপর স্লাব নির্মাণ করেছে। ভাই হওয়ায় আমি সেটা মেনে নিয়েছি। সম্প্রতি আমার একটি বালুর ট্রাক বাড়ির ফেতরে ঢোকার সময় ওই স্লাবটি ভেঙে যায়। এজন্য সে এবং তার পরিবারের লোকেরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এর প্রতিবাদ করায় সে আমার গায়ে ঢিল ছুড়লে আমি পায়ে আঘাত পাই। এই ঘটনায় আমি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি। পরবর্তী বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সালা উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।