বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা লঞ্চগুলো মঙ্গলবার সকাল থেকে ধোয়ামোছা করছেন শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন পর লকডাউন শিথিল করায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রয়েছে লঞ্চের কেবিনের আগাম টিকিটের চাহিদা। ২০ দিন পর লঞ্চ চলাচল শুরুর খবরে খুশি নৌযান শ্রমিকরা।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। ব্যত্যয় হলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনে বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করে রাখা ছিল বিলাসবহুল নয়টি লঞ্চ। ঘাটে অব্যবহৃত থাকা অবস্থায় সেগুলোতে ধুলো-ময়লা জমেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার থেকে চলাচলের জন্য যাত্রী পরিবহনের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
ধোয়া-মোছা করে লঞ্চগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে
শ্রমিকরা ধোয়ামোছা করে লঞ্চগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। শ্রমিকরা জানালেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই লঞ্চে যাত্রী বহন করা হবে।
এদিকে লঞ্চগুলোর টিকিট কাউন্টারেও ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি লঞ্চের কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রি প্রায় শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার ম্যানেজাররা।
বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী বহন করতে হবে। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। ভাড়া হবে সাধারণ সময়ের মতোই।’
সর্বশেষ গত ২২ জুলাই ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে এবং বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ। এরপর থেকে নদীবন্দরে অলস পড়ে ছিল। বরিশাল-ঢাকা রুট ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে রাজধানীতে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নৌপথ।