মেহেদী তামিম||মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল যানবাহন। একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য কোন না কোন যানবাহনের দরকার। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাস ( কোভিড ১৯) এর কারনে সরকার ঘোষিত ধাপে,ধাপে লকডাউনে সেই যানবাহন হয়েছিল অচল।দীর্ঘ ৪০ দিন টানা লকডাউনের পর সরকার থেকে ঘোষণা আসল ১০ ই আগষ্টের পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে সকল প্রকার যানবাহন।তাই দেশের সকল জেলার মত বরিশাল জেলার নগরীতেও চলতে শুরু করেছে সকল প্রকার যানবাহন।সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, যানবাহনের মেলা। অতিরিক্ত যানবাহনের কারনে বিভিন্ন সড়কের মুখে যানজটও দেখা যায়।সড়কের যানবাহনের চিত্র দেখলে মনে হয় যেন ২-১ দিন পরে ঈদ।হাসি ফুটে এসেছে নগরীর সকল প্রকার চালকদের মাঝে। সি,এন,জি চালক রাসেল বলেন লকডাউন সিথিল করে দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, তা না হলে আমাদের আর বাঁচার উপায় ছিলনা,এবং সরকার আমাদের যে গাড়ি চালানোর জন্য করোনার বিধিনিষেধ দিয়েছে তা আমরা মেনে চলবো।অটোচালক সুমন বলেন মনে হয় যেন আজ আমরা নতুন কোন জীবন পেয়েছি, কেননা ধাপে,ধাপে লকডাউনে অনেক টাকা দেনা আছি। গাড়ির চাকা যদি এখন চলে তাহলে দেনা পরিশোধ করে, নিজেরাও ভালো ভাবে চলতে পারব।আপনাদের থ্রি হুইলারেতো যাএীর সংখ্যা নিদিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, জি ভাই আগে আমরা ৮ জন নিতাম আর এখন আমাদের ৫ জন করে স্বাস্হবিধি মেনে গাড়ি চালাতে বলা হয়েছে, তারপরও লকডাউন শিথিল হয়েছে এতে আমরা খুব খুশি।সি,এন,জির যাএী পলাশ বলেন সরকার এই মুহূর্তে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই,এবং যানবাহনে যে যাএীর সংখ্যা নিদিষ্ট করে দিয়েছে তার জন্যও ধন্যবাদ জানাই।বরিশাল জেলা ও মহানগর থ্রি হুইলার কমিটির সভাপতি মোঃমতলেব বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের সকল চালকদের গাড়ি চালানোর কথা বলা হয়েছে এবং সরকার থেকে যে নিদিষ্ট যাএীর সংখ্যা বলা হয়েছে সে দিগেও লক্ষ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে মেট্রোপলিটন ডিসি, ট্রাফিক জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, চালক এবং যাএীদের উভয়েরই স্বাস্হবিধি মেনে চলা চল করতে হবে, এবং সরকার থেকে যে নিদিষ্ট যাএীর সংখ্যা বলা হয়েছে, সে দিগে খেয়াল রাখতে হবে, যদি কেউ স্বাস্হবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাএী ও ভাড়া বেশি নেয় তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এবং আমাদের অভিযান আগের মতই চলমান আছে এবং থাকবে।