বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় হামলার অভিযোগে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর সাদাপোশাকে থাকা ব্যক্তিরা বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নেন বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেন। তখন বরিশাল কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেনি। তবে আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে।
মমিনের শ্যালক আরিফুর রহমান গতকাল রাতে অভিযোগ করেন, নগরের রূপাতলী এলাকার বাড়ি থেকে সন্ধ্যার পর মমিন উদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা ধরে নিয়ে যান। পরে কোতোয়ালি থানায় খোঁজ নিলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানে না বলে পরিবারকে জানায়।
আজ বেলা একটার দিকে মমিন উদ্দীনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার ঘটনার রাতে ও পরের দিন ১৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ অভিযানে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বুধবার বরিশাল সদরের ইউএনওর সরকারি বাড়ির সামনের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনার সময় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ ওরফে বাবু ও বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার ওরফে বাবুকে আটক করা হয়েছিল।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতে ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে ইউএনওর বাসভবনে হামলার অভিযোগে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি ছোড়েন আনসার সদস্যরা।
এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা করেন। মামলায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়।