#

বরিশাল নগরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো সংস্কার ও পুন:নির্মাণের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের উপযোগী করা হলেও বর্ধিত অঞ্চলের অবস্থা বেহাল। সেই সঙ্গে মূল শহরের পার্শ্ববর্তী ছোট-বড় অনেক সড়কেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

#

বর্ষার কারণে এসব সড়ক ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়েছে নাগরিকদের।

 

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) বলছে গুণগত মান নিশ্চিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিছু সড়কের সংস্কার চলমান রয়েছে, আর বাকিগুলোর কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।

এছাড়া প্রকৌশল বিভাগ বলছে, দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বর্ষার সময় পানি জমে অনেক সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছে। তাই বর্তমান মেয়রের নির্দেশে নতুন ব্যবস্থাপনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করে সড়ক নির্মাণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। যদিও এতে সড়কের স্থায়ীত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে দাবি তাদের।

 

বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও নগরবাসীকে এমন আশ্বাসই দিয়েছেন। তিনি বার বার বলেছেন, নিজস্ব সম্পদ আর আয় দিয়েই সিটি করপোরেশনকে চালিয়ে নিতে হচ্ছে তাকে। এজন্য একসঙ্গে সব রাস্তার কাজ শুরু করতে পারেননি, পর্যায়ক্রমে সব রাস্তার কাজই শেষ করবেন। যে টুকু কাজ করা হয়েছে তাতে গুণগত মান ও স্থায়িত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। বরিশালে প্রথম তার আমলেই ৫ বছরের গ্যারান্টিতে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যা এখন দেশব্যাপী দৃষ্টান্ত।

এদিকে নগরবাসীও বলছেন, বর্তমান পরিষদের মেয়াদে গত কয়েক বছরে বরিশাল শহরে যেটুকু রাস্তার কাজ হয়েছে তার মান ভালো হয়েছে। বিশেষ করে নগরের আমতলার মোড় থেকে জিলাস্কুল মোড় হয়ে কাকলীর মোড়, আবার কাকলীর মোড় থেকে জেলখানার মোড় হয়ে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের পর গত কয়েক বছরে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি নগরবাসীকে। তবে সম্প্রতি কাজের ধীরগতি ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের ছোঁয়া না পাওয়ায় অনেক সড়ক নিয়ে হতাশাও রয়েছে নগরবাসীর।

নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা মাসুদ হোসেন বলেন, সি অ্যান্ড বি ১ নম্বর পুল থেকে টিয়াখালি হয়ে নবগ্রাম রোড পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে। শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর এ সড়ক সংস্কারে আর কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আবার জিয়া সড়ক, শের-ই-বাংলা সড়কসহ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট-বড় বেশকিছু সড়কেরও বেহাল দশা।

নগরের মতাশার এলাকার বাসিন্দা জুয়েল জানান, আদি শ্মশান থেকে মতাশার বাজারের আধা কিলোমিটর (যে জায়গা থেকে সদর উপজেলার শুরু) আগ পর্যন্ত গোটা সড়কটি সিটি করপোরেশনের। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পুরো সড়কেই খানাখন্দে ভরে গেছে। পিচ-পাথর উঠে গিয়ে ইটের লালচে রঙ দেখা যাচ্ছে খানাখন্দে। সেই সঙ্গে আশপাশের ছোট ছোট সড়কগুলোরও পিচ-পাথর উঠে গেছে। এতে এ সড়কগুলো দিয়ে চলাচলরত মানুষের ভোগান্তি চরমে।

রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, পোর্টরোড ব্রিজের ঢাল থেকে পলাশপুর ব্রিজের ঢাল পর্যন্ত গোটা সড়কটিই বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় রাস্তাটি। এ রাস্তা দিয়ে শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, সদর উপজেলার চরমোনাই, চরআবদানি, শহরের বেলতলা, পলাশপুর, রসুলপুর, কলাপট্টি এলাকার মানুষজন চলাচল করেন। অনুরোধ থাকবে সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here