বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয়ে যায় ঝালকাঠি পৌরসভার অনেক সড়ক। এসব সড়কে প্রতিদিন শত শত লোক যাতায়াত করে। এছাড়া কোনো কোনো সড়কের দু’পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এসব সড়কের বাসিন্দারা।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কগুলোর এই বেহাল দশা বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দুর্ভোগের কথা জানিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য যে সড়কগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, সেগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
ঝালকাঠি শহরের শহীদ স্মরণী সড়ক। খোদ পৌরসভার সামনেই সড়কটির অবস্থান। এই সড়ক দিয়েই যেতে হয় পৌরসভার খেয়াঘাট। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে এই সড়কে। অথচ বৃষ্টি হলে এই সড়কে আর হেঁটে চলা যায় না। খানাখন্দে ভরা থাকায় যান চলাচলও এখানে ঝুঁকিপূর্ণ।
এলাকাবাসী জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই সড়কটির পানি নেমে যেতে পারে না। তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু সড়কে যাতায়াতকারীরা নয় সড়কের পাশে ব্যবসায়ীরাও জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু শহীদ স্মরণী সড়ক নয়, পৌরসভার পুরাতন কাপুড়িয়া পট্টি সড়কও বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায়।
এখানকার ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। শুধু এ দুটি সড়কই নয়, ঝালকাঠি শহরের মুন্সি জাহাঙ্গীর সড়ক, মনু সড়ক, বিকনা সড়ক, নেছারাবাদ সড়ক, কাঠপট্টি বাকলাই সড়ক, পুলিশ লাইনের পেছনে বেদে পল্লী সড়ক, কবিরাজ বাড়ি সড়কসহ আরো কিছু সড়কে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়।
ঝালকাঠি পৌরসভায় বটুমিন, আরসিসি, হ্যারিংবন ও কাঁচা রাস্তা মিলিয়ে মোট ৬৮ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ২৬ কিলোমিটার সড়কে। বাকি সড়কগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
ঝালকাঠি পৌরসভার প্যানেল মেয়র তরুন কুমার কর্মকার বলেন, যেসব সড়কে জলাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো উপকূলীয় শহর প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা যাবে। এদিকে, জলাবদ্ধতা নিরসনে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী।