নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ফেইজবুকে মুসলমানদের নবী রসূলদের নিয়ে কূটক্তি করার অভিযোগে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।গত ৩ আক্টবর দক্ষিন কড়াপুর চেয়ারম্যান বাড়ী মোঃইব্রাহিম হাওলাদার বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।মামলা আসামী করা হয় ভোলা সদরের কাচিয়া কলোনী সড়ক এলাকার মৃতঃ পাচু লাল দে পুত্র গৌরঙ্গ চন্দ্র দে সহ আরো ৫ টি ফেইজবুক আইডি নাম দেয়া হয়। বাদীর আইনজীবী ত্র্যাডঃ শেখ আবদুল্লাহ নাসির জানান, গৌরঙ্গ চন্দ্র দে একজন ফেইসবুক ব্যাবহারকারী বটে। উল্লেখিত আসামী এবং তার অজ্ঞাতনামা সহযােগীগন মিলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনিয়া বাংলাদেশের সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করিয়া বিশৃংখল অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পায়তারায় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। নিজের নাম গােপন করে ছদ্মবেশ ধারন করে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দর্মীয় মূল্যবােধে আঘাত করে তথ্য প্রকাশ করিয়া ভােলা জেলাসহ বাংলাদেশের আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানাের অপরাধ করে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করিয়া হয়তবা অন্য কোন অবস্থার সৃষ্টি করিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে নিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘােলাটে করিয়া সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিনত করিয়া বাংলাদেশের ব্যাবসা- বানিজ্য আর্থ-সামাজিক অবস্থা নষ্ট করার পায়তারায় লিপ্ত রহিয়াছে। আসামী গৌরঙ্গ এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আসামি ও তার সহযোগী সহ বিভিন্ন সময়ে আসামি গৌরঙ্গ চন্দ্র দে, তার সহযােগীদের নিয়া পূর্ব পরিকল্পনামতে আসামীর নিজ নামের ফেইসবুক আইডি হইতে মেসেঞ্জার মাধ্যমে ঘটনাস্থলে বসিয়া ইসলামী মূল্যবােধ ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য “হেক এবা (মুসলমানেরা) শিবের পুজা করে” মর্মে আসামীর মােবাইল হইতে তার অজ্ঞাতনামা সহযােগীদের সাথে চ্যাটিং এর মাধ্যমে উক্ত নােংরা শব্দগুলাে দ্বারা বাক্য বিনিময় করেন। এবং চ্যাটিংয়ে লেখার মাধ্যমে একইভাবে আরাে লেখেন যে, “মুসলমানদের নবী ত লুচ্চা” এবং “মুসলমানরা লুচ্চা নবীর বংশধর” মর্মে আসামী তাহার ফেইসবুক আইডি এর মাধ্যমে মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে এবং নিজের নাম গােপন করে ছদ্মবেশ ধারন করে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দৰ্মীয় মূল্যবােধে আঘাত করে তথ্য প্রকাশ করিয়া ভােলা জেলাসহ বাংলাদেশের আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানাের অপরাধ করে। চ্যাটিং করিয়া (ইলেকট্রনিক বিন্যাসে) উক্ত বিকৃত তথ্য প্রস্তুত প্রকাশ ও প্রচার করিযা ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতি ও মুল্যবােধের উপর আঘাত হানে আসামি গৌরঙ্গ চন্দ্র দে তাহার ফেইসবুক আইডি এর ম্যাসেঞ্জার এর মাধ্যমে তাহার অনুগত ও সহযােগী সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়া অস্বস্তিকর কথাবার্তা লেখিয়া মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করিয়া এবং মুসলমানদের এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যকার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করিয়া বাংলাদেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার পায়তারায় লিপ্ত হয়।