#

 

#

গৌরনদী প্রতিনিধি :: রাতের আধারে ঘুমন্ত পুত্রবধুর মাথার চুল কেটে নির্যাতনের পর তার শিশু পুত্রসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী গ্রামের।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতিতা গৃহবধু (২১) জানান, প্রেমের সম্পর্কে বার্থী গ্রামের মৃত খসরু মাঝির পুত্র বাপ্পির মাঝি (২২) তাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে বাপ্পি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে সে (নির্যাতিতা) বাপ্পির বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলা থেকে রেহাই পেতে ২০২০ সালের জুন মাসে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে ধর্ষক বাপ্পির সাথে তার বিয়ে হয়। এরইমধ্যে ওই গৃহবধুর গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। পরে শিশু সন্তান নিয়ে স্বামী বাপ্পি মাঝির বাড়িতেই অবস্থান করছিলো গৃহবধু।

তিনি (গৃহবধু) আরও জানান, শুরু থেকেই স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলোনা তার শ্বাশুরি ঝর্না বেগম ও বাপ্পির বড় ভাইয়ের স্ত্রী মিমি আক্তার। তারই ধারাবাহিকতায় শ্বাশুড়ি ও জা মিলে বিভিন্ন সময় তাকে (গৃহবধু) শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো।

ওই গৃহবধু বলেন, গত এক মাস পূর্বে রাতে একই বসতঘরের আলাদা রুমে সে (গৃহবধু) ঘুমিয়ে পরেন। রাতে তার শ্বাশুড়ি ঝর্না বেগম এবং জা মিমি আক্তার তার (গৃহবধু) পুরো মাথার চুল কেটে দেয়। পরবর্তীতে শারিরিক নির্যাতন করে তাকে তার শিশু পুত্রসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী বাপ্পী মাঝিও বাড়ি থেকে আত্মগোপন করেছেন। ফলে উপায়অন্তুর না পেয়ে বর্তমানে সে (গৃহবধু) বার্থী ইউনিয়নের গাইনেরপাড় এলাকার মামা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

গৃহবধুর শ্বাশুরী ঝর্না বেগম ও তার জা মিমি আক্তার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ন অস্বীকার করেছেন।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here