ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাত বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২ নভেম্বর বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে বহিষ্কারাদেশের চিঠি পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে তাদের বহিষ্কার কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে।
বহিষ্কার হওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন: চরকাজল ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন গাজী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা, চরবিশ্বাস ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. রাজামিয়া, ডাকুয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন খান, পানপট্টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মাসুদ রানা, কলাগাছিয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মাইনুল ইসলাম সিকদার, বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শহিদুল হাওলাদার।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর গলাচিপা উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৮ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নগুলো হলো চরকাজল, চরবিশ্বাস, গলাচিপা সদর, পানপট্টি, ডাকুয়া, কলাগাছিয়া, বকুলবাড়িয়া ও গজালিয়া। এর আগে, প্রথম ধাপে ৪ ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে জানান, দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে আট ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু, বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসায় তাদেরকে এবার দলীয় সকল ধরণের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।