বরিশালের মুলাদী উপজেলায় স্বর্ণা আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পরিবারের দাবি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার কান্দি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্বর্ণা ওই এলাকার মোস্তফা বয়াতির মেয়ে। সে কাজিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্বর্ণার বাবা মোস্তফা বয়াতি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বর্ণার মা প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। স্বর্ণা ঘরে একা ছিল। তার মা সাড়ে ১১টার দিকে ঘরে ফিরে স্বর্ণাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন এসে তাকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মোস্তফার দাবি, ঘরের মধ্যে ইঁদুর গর্ত করেছিল। স্বর্ণা হয়তো গর্তের মাটি সরানোর সময় আর্থিং রডে হাত লেগে বিদ্যুতায়িত হয়েছিল।
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে। সে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে তা এখনই বলা ঠিক হবে না। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
স্থানীয়রা জানান, স্বর্ণার মৃত্যু রহস্যজনক। তার বাবা-মায়ের আচরণও সন্দেহজনক। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তারা এলোমেলো কথা বলছেন। পুরো বিষয়টি তারা গোপন করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।
মুলাদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী মো. পারভেজ বলেন, আর্থিং রড থেকে বিদ্যুতায়িত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। বিদ্যুতায়িত হলেও ঝাঁকি কিংবা সামান্য শক লাগতে পারে। কিন্তু আর্থিং রড থেকে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা হাজারে একটাও ঘটে কি না জানা নেই।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গিয়ে স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে মডেল থানায় নিয়ে আসে। স্বর্ণার মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য স্বর্ণার মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।