ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি এলাকায় জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সদস্যসহ ৫ জুয়ারিকে আটক করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতদের সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে শনিবার সকালে ঝালকাঠি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন।
আটকরা হলেন- উপজেলার বামনখান এলাকার জগবন্দু হালদারের ছেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত কনেষ্টবল পুলক হালদার (৪৬), বাগড়ী এলাকার মৃত. শামসুল সিকদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), রোলা এলাকার আ: রশিদ খানের ছেলে আ: সালাম খান (৫৫), সাংগর গ্রামের মৃত. নুরুল হক মৃধার ছেলে বাবুল মৃধা (৫৯) ও সাতুরিয়া এলাকার আ: সোবাহান এর ছেলে পলাশ হাওলাদার (২৫)। অভিযানের সময় এক আওয়ামী লীগের নেতাসহ চারজন পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, নৈকাঠি এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে এখানে মাদক ও জুয়ার আসর বসায়। দেখলে মনে হচ্ছে এ যেন এক মাদক, জুয়ার রমরমা বাজার।
নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পুত্র তারেক শাহিন মৃধা লোকজন নিয়ে প্রায়ই এ এলাকায় জুয়ার আসর বসান। গতকাল পুলিশের অভিযানের সময় তিনিও খেলতে ছিলেন কিন্তু ভাগ্যক্রমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় রাজাপুর থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার নৈকাঠি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকার পলাতক আসামী আবুল কালাম মোল্লার বসতঘরে জুয়া খেলারত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে ৫ জুয়ারিকে আটক করা হয়। আটকদের নামে মামলা রুজু করে ঝালকাঠি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।