TT Ads

 

মন্দিরের ফটক খোলার সময় মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ না করায় ওই মন্দির কমিটির সভাপতিকে বেদম পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ ধর্মরক্ষ্মীনি সভাগৃহে ডেকে জিয়া সড়কের জয়দুর্গা কামেশ্বরী মন্দির পূজা কমিটির সভাপতি জগদীশ বৈদ্যকে মারধর করা হয়। পরে জগদীশ বৈদ্যকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

জগদীশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকার, সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা ও সদস্য খোকন চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।

জগদীশ বৈদ্য বলেন, জয়দুর্গা কামেশ্বরী মন্দির প্রতি বছর এক মাস করে বন্ধ থাকে। সেই মন্দির কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র দে’র সাথে কথা হলে তিনি মন্দিরের ফটক খুলতে বলেন। সেই মোতাবেক মন্দিরের ফটক খোলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাসায় ফেরার পথে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পাপ্পা ফোন দিয়ে ধর্মরক্ষ্মিনী সভাগৃহে আসতে বলে। কিছুক্ষণ পর সভাপতি তমালও যেতে বলে সেখানে। ধর্মরক্ষ্মিনীতে যাওয়ার পর তাদের কেন মন্দির খোলার সময় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এই অজুহাত দেখিয়ে খোকন আমাকে মারধর শুরু করে। পরক্ষণে তমাল ও পাপ্পাও এলোপাতাড়ি মারধর করে। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

জগদীশ আরও বলেন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি জোড়পূর্বক বিভিন্ন মন্দিরে হস্তক্ষেপ করছে। তারা জোড়-জুলুম করছে। বিগত দিনের কমিটিগুলো থেকে এমন আচরণ আমরা পাইনি।

অভিযোগ রয়েছে, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের এই কমিটি অনেকটা দখল করেছে বর্তমান পদপ্রাপ্তরা। বিতর্কিত লোকজনকে এই পরিষদের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে, এই নিয়ে ক্ষুব্ধ সচেতন সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও। যারা শহরজুড়ে বিতর্কিত, তাদেরকে জোড় খাটিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আসন দেওয়া সমীচীন হয়নি বলেও অভিমত তাদের।

করোনাকালীন সময়ে তমাল মালাকার শ্মাশানে সাধারণ মানুষদের দাহ করতে দেয়নি। পরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের হস্তক্ষেপে দাহ হতো।

এই বিষয়ে জানতে বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা বলেন, ‘জগদীশকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কেন মন্দির খোলার সময় আমাদের জানানো হয়নি। কিন্তু তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা গুজব ছড়িয়েছে তৃতীয় পক্ষ। মহানগরের সব মন্দিরে আমাদের হস্তক্ষেপ করার বৈধতা রয়েছে। তবে আমরা কোনো কমিটির উপর জোড় জুলুম করি না। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয় আমাদের কমিটি। এখানে কারো হস্তক্ষেপ নেই।’

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *