ফরিদপুরের ভাঙায় সাকুরা পরিবহন দুর্ঘটনায় আহত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমনের মৃত্যুতে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।একই দাবিতে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ৫ ঘণ্টা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
জানাজার সময় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হলে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে আন্দোলনে নামে। দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ‘সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া গতি সম্পর্কে সবাই অবগত। আর এই বেপরোয়া গতির কারণে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। আমরা মনে করছি, এটা হত্যাকাণ্ড। ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করবো।’
তবে তারা আপাতত সড়ক অবরোধ থেকে সরে এসেছেন বলে জানান তিনি। ঝুমুর নিশাত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ থেকে সরে এসেছি। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি।
আজ গায়েবানা জানাজা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি। সাকুরা পরিবহনের মালিক কাল আসলে তার সঙ্গে আমরা ক্ষতিপূরণসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনায় বসবো।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ‘সাকুরা পরিবহনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। আমরাও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা মর্মাহত আমাদের এক ছাত্র নিহতের ঘটনায়। শিক্ষার্থীরা ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। সাকুরা পরিবহনের মালিক কাল সকাল ১০টায় আমাদের সঙ্গে বসবেন।’
বরিশাল মহানগরীর বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে।
৬ নভেম্বর ফরিদপুরের ভাঙায় সাকুরা পরিবহনের একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৪ যাত্রী নিহত হয়। এর মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম বর্ষের ছাত্র ইসমাইল ইমনও রয়েছে।