#

 

#

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্নাতকোত্তর পাসের ভুয়া সনদ দাখিল করে ২৫বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। যার ডকেট নং ২৮১, তারিখ : ০৬.০২.২০২৩ ইং।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, জনবল কাঠামো ৯৫’র বিধিমালা লংঘন করে ১৯৯৫ তে অনার্স ফাইনাল বছরের ছাত্র থাকাকালীন তাকে ইংরেজি প্রভাষক পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ সালের মধ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করতে পারলে তার নিয়োগ বৈধ বলে গন্য হবে। এই শর্ত বেসরকারী স্কুল ও কলেজ বিধি বর্হিভ‚ত। তবে ১৯৯৮ সালে স্নাতকের ছাত্র থাকাকালীন ২য় বিভাগে উত্তীর্ন দেখিয়ে নিয়োগ বৈধ করা হয়। ২০০১ সালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ৩য় বিভাগে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে তৎকালীন বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিলে তদন্তে এই জালিয়াতি ধরা পরে বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০৫ সালে তিনি (অধ্যক্ষ) কলেজ থেকে ইস্তেফা দিলে গভনিং বডির সভায় তার ইস্তফা পত্র অনুমোতিত হয় এবং তাকে এমপিও ভ‚ক্ত না করার জন্য তৎকালিন অধ্যক্ষ লিখিত ভাবে শিক্ষা বোর্ড কে অবহিত করেন। শিক্ষা বোর্ড সফিকুল ইসলামের ইস্তেফা পত্রসহ গভনিং বডির প্রস্তাব অনুমোদন করে। তার এমপিও বন্ধ করে দেন।

২০০৯ সালে সফিকুল ইসলামকে নতুন গভনিং বডি পূনঃ নিয়োগ দেন যা অবৈধ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সফিকুল ইসলামের জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ নেয়ার বিষয়টি তদন্তের দাবী করা হয়েছে অভিযোগে।

অভিযোগকারী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, সফিকুল ইসলামের আপন মামা গভর্নিং বডির সভাপতি হাওয়ায় তাকে অবৈধ ভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে বিধিমালা লংঘন করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে হয়রানী করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। ২০০৫ সালে আমি এই ষড়যন্তকারীদের চাপের মুখে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here