বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ আয়ত্তে থাকা সকল ঘাটগুলো নিয়ে নিলাম চলছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। ইতিমধ্যে টেন্ডার ও জমা দিয়েছেন বেশ কিছু ইজারাদাররা। সদর উপজেলা লাহারহাট ফেরিঘাট পার্কিং এর টেন্ডার জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও জমা দিতে পারেননি ছাত্রলীগ নেতা সুজন।
বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনকে টেন্ডার প্রদানে বাধা দেয় দূর্বৃত্তরা। সুজন সদর উপজেলা লাহার হাট ফেরিঘাট পার্কিং-এর বর্তমান ইজারাদার। সোমবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটে ছাত্রলীগ নেতা সুজন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ টেন্ডার বক্সে লাহার হাট ফেরিঘাটের টেন্ডার জমা দেওয়ার জন্য বরিশাল লঞ্চঘাট টার্মিনালে প্রবেশ করলে প্রায় দুইশত যুবক তাকে পথ গতিরোধ করে এবং টেন্ডার জমা না দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে । কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজনকে ঘেরাও করে টেন্ডার প্রদানে বাধা দেওয়া প্রায় দুইশত যুবক। সর্বশেষ পরিস্থিতি সামাল দিতে টেন্ডার জমা না দিয়ে সেখান থেকে চলে যায় ছাত্রলীগ নেতা সুজন ।
সুজন জানায় মঙ্গলবার সকালে আমি লাহারহাট ফেরিঘাট পার্কিং-এর টেন্ডার ড্রপ করতে যাই এবং সেখানে আমি একাই যাই যার কারনে আমাকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর প্রায় দুইশত তরুন উপর মহলের একজন মন্ত্রীর নাম বলে আমাকে টেন্ডার প্রদানে বাধা দেয় এবং আমি টেন্ডার জমা দিতে না পেরে সেখান থেকে ফিরে আসি। ছাত্রলীগ নেতা সুজন বলেন কাউনিয়া যুবলীগ নেতা জিহাদ এবং শ্রমিক নেতা শুক্কর এর নেতৃত্তে এসব কর্মকান্ড ঘটেছে।
সুজন আরো বলেন, এ বিষয়ে বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক’কে ফোন দিলে তিনি বলেন যার নামে শিডিউল তাকে উপস্থিত থেকে টেন্ডার জমা দিতে হবে।
এরকম কোন নিয়ম আগে ছিলোনা। কারন বিগত বছরগুলোতে আমি শিডিউল এভাবেই জমা দিয়েছি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও আমি শিডিউল নিজের নামে না কিনে একটি কোম্পানির নামে শিডিউল ক্রয় করেছি। এখন আমি যার নামে শিডিউল কিনেছি সে মূলত ঢাকা থাকে।
সুজন বলেন, আমি একজন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হয়েও কেন আমি টেন্ডার ড্রপ করতে পারলাম না আমি কোন চাঁদাবাজি করিনা এবং আমার নেতা আমাকে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি শিখায়নি! কি আমার অপরাধ।
আমি বর্তমানে সেখানকার রানিং ইজারাদার আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।
এ বছর সুজন চুয়াত্তর লক্ষ ৯০ হাজার টাকার দরপত্র দিয়ে লাহার হাট ফেরিঘাট পার্কিং-এ টেন্ডার ড্রপের কার্যক্রম করেন। এর আগেও সুজন বরিশাল সদর উপজেলা লাহার হাট ফেরিঘাট পার্কিং এর ইজারাদার ছিল।