#

 

#

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল নগরীর এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে কাউনিয়া থানা পুলিশ।

গতকাল রাতে বরিশাল কাউনিয়া থানার একটি বিশেষ আভিযানিক টিম ভাটিখানা, জোড় মসজিদসহ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিসিসি ৩ নং ওয়ার্ড ভাটিখানা সোনিয়া মসজিদ গলিতে অবস্থান নেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার আসামী মোঃ তানভীর হাওলাদার নবীন (২৫)। পিতা মোহাম্মদ লিটন হাওলাদার এবং তার সাথে থাকা একই মামলার সহযোগী মোঃ রাকিব মোল্লা।পিতা মোঃ কাদের মোল্লা উক্ত স্থান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যদের মাদক ব্যবসায়ী নবীন এবং তার সহযোগীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাৎক্ষণিক তারা দুজনকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তাদের দেহ তল্লাশি করে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই এনামুল এবং তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ী নবীনকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী নবীনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সেখান থেকে দুই শত পিস ইয়াবা (মেথাএমফিটামিন) ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে থানায় আটক করে আজ নিয়মিত মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এসময় অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন কাউনিয়া থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই/ মোঃ এনামুল হক,এসআই/সামসুল ইসলাম,এসআই/শওকত হোসেন, এএসআই কামরুল ইসলাম সহ সঙ্গীও ফোর্স।

এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার এসআই এনামুলের সাথে কথা বলে জানা যায় এই নবীন দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকায় মাদক ব্যবসার পরে আসছিল। অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির হওয়ায় তাকে ধরতে আমাদের খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে। এর আগেও আমরা নবীনের বসত করে অভিযান পরিচালনা করেছি কিন্তু মাদক ব্যবসায়ী নবীন তার নিজের থাকার রুমটি অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে তৈরি করেছে এবং রুমের সাথে থাকা এটাস্ট বাথরুম হওয়াতে বাহির থেকে নক করার সাথে সাথে সে মাদক বাথরুমে ফেলে ফ্লাস করে দিতো। তিনি আরো বলেন নবীনের বিরুদ্ধে এর আগেও ২০০০ পিস ইয়াবার একটি মামলাসহ, এক কিশোরের অঙ্গহানি এবং হত্যার চেষ্টা মামলাও রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মাদক ব্যবসায়ী নবীন নগরীর কাশীপুরে অবস্থিত ইনফ্রা পলিটেকনিক কলেজের একজন অনিয়মিত ছাত্র ছিল। মাদক ব্যবসায় এবং মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে তার পড়াশোনাও শেষ করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আমাদেরকে জানায় মাদক ব্যবসায়ী নবীনের পুরো পরিবার ওর এই মাদক ব্যবসায়ের বিষয়ে অনেক আগে থেকে অবগত একথায় তাদের কারণেই নবীনের মত একজন কিশোর হয়ে উঠেছে বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী এবং সেই সাথে ধ্বংস করছে এলাকার বাকি নতুন যুব সমাজকে। এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান মাদক ব্যবসায়ী নবীন ছাড়াও ভাটিখানা ও জোর মসজিদ এলাকায় আরও বেশ কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। আমরা তাদেরকেও নজরদারিতে রেখেছি। নবীনের সাথে জড়িত সকলের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে তদন্তের স্বার্থে এখন আমরা নাম প্রকাশ করতে পারছি না।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here